নিউজবাংলা: ২৪ জুন, শুক্রবার:
ঢাকা : আর কয়টি বিশ্বকাপ কিংবা কোপা খেলতে পারবেন, সে প্রশ্ন সময়ের হাতে তোলা। ক্লাব ফুটবলের আধুনিক ধকল সামলে
ওই আকাশী-নীল জার্সিটা মহাতারকার শরীরে ৩৪/৩৬ বছর পর্যন্ত থাকবে-এই বাজি নিশ্চয়ই অল্প কয়েকজনই ধরবেন। দিনে দিনে ২৯ টা জন্মদিন তিনি পার করলেন; এটা যেমন সত্য, তেমনি সত্য আর্জেন্টিনাকে বড় কিছু দিতে না পারার ব্যর্থতা। জন্মদিনের দুইদিন বাদে মেসিকে ডাকছে ইতিহাস। ২৭ জুন কোপার ফাইনাল। প্রতিপক্ষ চিলি। হয়তো ২৯ টা মোমবাতি জ্বালানের রাতে ওই প্রথম বড় শিরোপার অপেক্ষায়ই বিভোর ছিলেন ‘রাজপুত্র’।
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন রোজারিওতে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লিওনেল মেসি। চার ভাইবোনের মাঝে তৃতীয়। বাবা শখের ফুটবল কোচ হলেও সেই কোচিং দিয়ে খুব একটা রোজগার হতো না। পরবর্তীতে তিনি ইস্পাতের একটি কারখানায় কাজ শুরু করেন। তার মা পরিবারের অভাব মেটানোর জন্য খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
পাঁচ বছর বয়সে বাবার কোচিংয়ে ক্লাব গ্রান্দোলিতে খেলা শুরু করেন মেসি; ৩ বছর পর যোগ দেন রোসারিওর ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে। কিন্তু ১১ বছর বয়সে মেসি আর ফুটবলের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শারীরিক সমস্যা।
শরীরে একটি হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে আর্জেন্টিনার খ্যাতনামা ক্লাব রিভার প্লেট মেসির সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়েও পিছিয়ে যায়। সেই সময়ই মেসির চিকিৎসার জন্য মাসে ৯০০ ডলার করে প্রয়োজন হতো।
কঠিন সময়ে এগিয়ে আসেন বার্সেলোনার তখনকার ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেসাচ। ট্রায়ালে মেসির ফুটবলে মুগ্ধ হয়ে তখনই ১৩ বছর বয়সী বিস্ময় বালককে নেয়ার চুক্তি সেরে ফেলেন তিনি। মেসির সব ধরনের চিকিৎসার ভারও নেয় বার্সেলোনা।
পরের গল্পটা শুধুই মেসিময়। লিওনেল মেসি হয়ে উঠলেন বার্সেলোনার মধ্যমণি। দলটির হয়ে এমন কোনো শিরোপা নেই যে জেতেননি। গৌরবময় পথচলায় ২০০৯-২০১২ পর্যন্ত টানা চার বার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়ে ইতিহাস গড়েন। সেই ইতিহাসের পথে অনেক ফুল ফুটিয়েছেন। শুধু পারেননি দেশের জন্য। ২৭ জুন কী পারবেন সেই ফুল ফোটাতে। যে ফুল ফোটাতে হয় যত্ন করে, আলো আর আঁধারের শত আদরে!
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments