শায়েস্তাগঞ্জ জংশন একুশ লাখ মানুষের দুঃখের জংশন!
নিউজবাংলা: ১২ আগস্ট, বুধবার:
এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
শায়েস্তাগঞ্জ জংশন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসীর কাছে দুঃখের জংশন হয়ে গেছে। টিকিট সঙ্কট ও কালোবাজারি থেকে শুরু করে বিশ্রামাগার ও শৌচাগারের অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, হকার, ভিক্ষুক, বখাটে ও ভাসমান লোকদের উৎপাতে জর্জরিত যাত্রী সাধারণ।
অথচ এ জংশন হবিগঞ্জের ২১ লাখ মানুষের রেল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিনিয়ত যাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি যাত্রী সেবা। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-অব্যবস্থা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানে। অথচ এ স্টেশন থেকে সরকার প্রতিদিন আয় করছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্রগ্রাম রুটে চলাচলকারী ১২টি ট্রেনের আপ-ডাউনে এ স্টেশনের জন্য মাত্র ৪২০টি টিকিট বরাদ্দ রয়েছে। যার অধিকাংশই চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। পরে চড়া দামে সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কিনতে হয়।
এদিকে স্টেশনটিতে বিশুদ্ধ পানি সঙ্কট রয়েছে। বসার জায়গা না পেয়ে প্লাটফর্মের মেঝেতে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী-শিশুরা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানায়, টিকিট পাওয়া যায় না। টিকিট পেলেও ট্রেনে উঠে সিট মেলে না। অবাধ বিচরণ রয়েছে হকার, ভিক্ষুক, বখাটে ও ভাসমান লোকদের। এছাড়া প্লাটফর্মে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট।
স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এখানে যাত্রীদের তুলনায় টিকিট অপ্রতুল। যে কারণে টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। টিকিটের পরিমাণ বাড়লে যাত্রীদের এ সমস্যা থাকবে না। তিনি আরো বলেন, “এছাড়া প্রয়োজনীয় লোকবলও নেই এ স্টেশনে। নেই নিরাপদ পবিবেশও। এর চারপাশে সারারাত বখাটেদের উৎপাত আর অবাধ বিচরণ দেখা যায়।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “এ এলাকায় কোনো ধরনের অপরাধ নেই। সাধ্যমতো আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, “যদিও কিছু সংখক লোক রাতভর এখানে বিচরণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু দেখা যায় তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী। তবে কিছু বখাটেও আছে।”
টিকেট কালোবাজারির ব্যাপারে তিনি বলেন, “ভাত খেলে যেমন ভাত পড়ে, তেমনি কিছু কালোবাজারি আছে। তবে আমরা সব সময় এদের নজরে রেখেছি। টিকিট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কর্র্তৃৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নিউজবাংলা/একে