নিউজবাংলা: ২৬ জুলাই, মঙ্গলবার:
ঢাকা: ভারতে ধর্ষণের পর ১৪ বছর বয়সী দলিত সম্প্রদায়ের এক কিশোরী জোর করে এসিড খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ জুলাই সোমবার দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর এনডিটিভির।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এসিড জাতীয় পদার্থে তার শরীরের ভেতরের সব অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের মৃত্যু খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
এ ঘটনায় দিল্লির মহিলা কমিশন (ডিসিডব্লিউ) তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আর কত নির্ভয়া চায় দিল্লি? আমরা সবাই আরেকজন নির্ভয়ার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি।’
এ ঘটনা তিনি খুব অসহায়বোধ করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে রাজধানীতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ফেলে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে এর ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
দিল্লির ওই ঘটনার পর জনতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন গড়ে তুলতে ভারত সরকার যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইন করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে ধর্ষণের শিকার দেশটির সব নারীকে ‘নির্ভয়া’ বলা হয়ে থাকে।
স্বাতী মালিওয়াল বলেন, ‘কিশোরীকে জোর করে এসিড জাতীয় পদার্থ খাওয়ানো হয়। এতে তার ভেতরের অঙ্গগুলো নষ্ট হয়ে যায়। সে খুবই যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে দিল্লি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বরাবর মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments