নিউজবাংলা: ১৬ নভেম্বর, সোমবার:
মিজানুর রহমান পন:
ঝালকাঠির রাজাপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় জেএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুরের বলাইবাড়ি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ দূর্ঘটনায় আহত আরো ৪জনের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক আমান আহমেদ (১৮) ও পথচারি মোজাম্মেল খন্দকারের (৭০) অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিজদামনি উপজেলার নিজ গালুয়া গ্রামের ব্যবসায়ী বাদল হোসেন আকনের মেয়ে। বিদ্যালয়ে অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। পরিবার ও শিক্ষকদের আশা ছিল এবছর জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করবে। সবগুলো পরীক্ষাও অত্যন্ত ভাল হয়েছিল তার। নিজেও বাবার কাছে বলেছিলেন সম্ভাব্য জিপিএ ৫ অর্জন করার কথা। কিন্তু মোটরসাকেলের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল তার প্রাণ। গালুয়া এসকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রী সিজদামনি ঝালকাঠির রাজাপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার সময় পথিমধ্যে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত হন। সোমবার ছিল সিজদামনির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা। কিন্তু সে পরীক্ষা আর দেয়া হলোনা তার।
পুলিশ জানায়, সকালে দ্রুত গতিতে দুটি মোটরসাইকেল ওভারটেক করার সময় একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল দুটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে এক পথচারিকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা জেএসসি পরীক্ষার্থী সিজদামনি ও পথচারিসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর দুপুর ১২টায় সিজদামনির মৃত্যু হয়। আহত অপর দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
গালুয়া এসকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আকন বলেন, ‘সোমবার সিজদামনির কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। সিজদামনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিল। ক্লাসে তার রোল ছিল পাঁচ। দূর্ঘটনায় তার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।’
সিজদামনির বাবা বাদল আকন বলেন, ‘দুই মেয়েকে রেখে ওর মা শিশু বেলায়ই মারা যায়। এরপর খেয়ে না খেয়ে আমার মেয়ে দুটিকে বড় করেছি। দুই বোনের মধ্যে সিজদামনি ছিল ছোট। লেখাপড়া করে বড় চাকুরি করার ইচ্ছে ছিল ওর।’
সিজদামনির মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী ও তার সহপাঠিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments