নিউজবাংলা: ২৯ জুন, বুধবার:
ঢাকা: ২৮ জুন-এ যেন আর এক ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-এর গল্প। সালমান খানের সুপারহিট ফিল্মে, পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট মেয়ে মুন্নি অবশেষে ফিরে গিয়েছিল তার দেশে।
ঠিক সেরকম ভাবেই ভারতের দিল্লি থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু সনুকে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অবশেষে তাদের জিম্মায় নিল। এবার তাকে তার মা-বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সোমবার বরগুনার এক আদালতের আদেশে শিশু সনুকে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বরগুনার আদালতে ভারতীয় হাইকমিশনের আইনজীবী সঞ্জীব দাস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় পাঁচ বছর আগে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে সনু হারিয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশে তার খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর আদালতের নির্দেশে দিল্লিতে সনুর বাবা-মায়ের সঙ্গে তার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। সে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল মিলে যাওয়ায় শিশুটিকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেয়া হল।
সনুকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ঘটনায় বরগুনার আদালতে এখন মানবপাচারের একটি মামলা বিচারাধীন আছে। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলি আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, আদালত প্রথমে শর্ত দিয়েছিল যাতে মামলার সাক্ষির প্রয়োজনে শিশু সনুকে আদালতে হাজির করাতে ভারতীয় হাই কমিশন ‘বাধ্য’ থাকে।
তবে এ বিষয়টি পুনঃবিবেচনার আবেদন জানানো হয়। পরে আদালত সংশোধিত আদেশে বলে প্রয়োজনে ভারতীয় হাইকমিশন সনুকে আদালতে হাজির ‘নিশ্চিত’ করতে পদক্ষেপ নেবে।
সনু দিল্লি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল নাকি তাকে পাচার করে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল, সে বিষয়টি এ মামলার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে। এক মাস আগে সনু গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, পাঁচ বছর আগে এক নারী তাকে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। এদিকে দিল্লিতে সনুর মা তার সন্তান ‘হারানোর’ ঘটনায় বাংলাদেশী নারীকেই অভিযুক্ত করেছে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments