নিউজবাংলা: ১২ জুলাই, মঙ্গলবার:
ঢাকা : বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের ভূ-পৃষ্ঠের নিচে ‘সম্ভবত’ একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের উৎপত্তি হচ্ছে এবং এর ফলে ১৪ কোটি মানুষ ঝুঁকিতে পড়বে।
সোমবার নেচার জিওসায়েন্স সাময়িকীর এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন এই গবেষণা অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি খুব শিগগির আঘাত হানবে না। তবে এটি অনিবার্য। কারণ পৃথিবীর কঠিন উপরিভাগগুলো একে অপরকে ধাক্কা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এ গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক মাইকেল স্টেকলার টমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, আরো গবেষণা ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না, এই ভূমিকম্প কবে আঘাত হানতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ও দরিদ্রতম দেশ বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতে সম্ভাব্য ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ৬২ মাইলের (১০০ কিলোমিটার) মধ্যে ১৪ কোটি মানুষের বসবাস।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এ ভূমিকম্পে বাংলাদেশের চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, ভারী শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর ব-দ্বীপের ১২ মাইল (১৯ কিলোমিটার) গভীরে থাকা জেলাটিনের মতো (এক ধরনের স্বাদহীন জেলি) কাদামাটি অনেক স্থানের ভবন, সড়ক ও মানুষ গিলে নিতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, সম্ভাব্য এই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে ২৪ হাজার বর্গমাইল (৬২ হাজার বর্গকিলোমিটার) এলাকা।
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ভূমিকম্পে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যে পৃষ্ঠে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এই এলাকা ভূপৃষ্ঠের একই ফল্ট লাইন রয়েছে, যেখানে ২০০৪ সালের ভূমিকম্প হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের পর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামিতে দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
গবেষকরা ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পূর্ব ভারতের তলদেশের প্লেটগুলো উত্তরপূর্বে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের দিকে সরে যাচ্ছে। যার কারণে ভূপৃষ্ঠের নিচে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
নিউজবাংলা/ একে
Comments
comments