নিউজবাংলা: ৩ জুলাই, রোববার:
বাসাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাসাইলে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলছে বেচাকেনার ধুম। বাসাইলের কোটিপতি মার্কেট, এস.আর শপিংমল, চারুবাগ সুপার মার্কেট, নব্বেছ চাঁন পাগলের চাঁদ শহর মার্কেট, শান্তি কমপ্লেক্সসহ ফুটপাত পর্যন্ত প্রতিটি দোকানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
বাসাইলের শপিংমলগুলোতে ঈদ বাজারের নানা পন্যের সমাহার তৈরি করা হয়েছে। কেনা কাটা সারতে কিশোর-কিশোরীসহ প্রবাসির স্ত্রীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার ঈদে তরুনীরা ঝুকছে ভারতীয় বেশ কিছু আইটেমের দিকে। বাজিরাও মাস্তানী, গাউন, শেরওয়ানী, আনারকলি, লেহেঙ্গা, রশমি, নির্জ্ব, পাখি, জিসান, ফিওনা, দুপাট্টা, তুমি আসবে বলে, পাকিস্তানি কোটি, কিরণমালা, পাতাবালি তরুনীদেরকে আকৃষ্ট করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কিরণমালা ও পাখি’র মাতামাতি একেবারেই কম। প্রবাসিরা বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠায়, স্ত্রীরা হয় টাকার ম্যানেজার । তাই তারা ঈদে খরচ করেন দু’হাতে। বাসাইলে সব পোশাকের নান্দনিক সমাহার তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। পুরানো আইটেম বাদ দিয়ে এখন শপিং মলগুলোতে আপডেট পোশাক শোভা পেয়েছে। তরুনরা ঝুকছেন গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, ফতোয়া, জিনস প্যান্টের দিকে। কিশোর ও শিশুদের পোশাক হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। রং বেরঙ্গের দেশীয় শাড়ি কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন মার্কেটগুলোতে গৃহবধুরা। মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি, কাতান শাড়ি, জর্জেট, ষ্টোন, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ানী, চোখের তারাসহ বিভিন্ন নামের শাড়ির কদর বেড়েছে এবারের ঈদ বাজারে। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা কথা হয় আরিফা বেগ আশার সাথে তিনি বলেন, এস.আর শপিংমলে অনিক ফ্যাশন হাউজ থেকে বেশ কিছু পোশাক কিনেছি। এখানে অনেক আইটেমের পোশাক সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়। এস.আর শপিংমলে দিপ্ত বস্ত্রালয়ের মালিক খন্দকার কামরুজ্জামান টিপু বলেন, এবার ঈদে বাজিরাও মাস্তানী, গাউন, শেরওয়ানী, আনারকলি, লেহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে বেশি। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। আশা করছি এ মাসে ১৫ লাখ টাকা বিক্রি হবে।
নিউজবাংলা/একে
Comments
comments