সাতক্ষীরায় শিশু ফাহিম হত্যার ঘটনায় মা-ছেলেকে দুই দিনের রিমান্ড

নিউজবাংলা: ২৮ জুন, মঙ্গলবার:

নূরুজ্জামান রিকো, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর শিশু ফাহিম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মা সফুরা বেগম ও ছেলে ইব্রাহিমকে দুই দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসানের আদালতে শুনানী শেষে এই আদেশ দেন বিচারক।

চাঞ্চল্যকর শিশু ফাহিম হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম এর উপস্থিতিতে এমামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। তিনি জানান, এ মামলার অন্যতম আসামী ইসরাফিল হোসেনকে যেহেতু আগে থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সে কারণেই আদালত ইসরাফিল হোসেনকে বাদ দিয়ে তার মা সফুরা বেগম ও তার ভাই ইব্রাহিম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমা- মঞ্জুর করেছে। বুধবার কারাগারে থাকা সফুরা বেগম ও তার ছেলে ইব্রাহিমকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান।

তিনি বলেন, আলোচিত এই মামলার ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ইসরাফিলের স্ত্রী তামান্না খাতুন আগেই থেকেই সবকিছুই স্বীকার করেছে। এখন এই দুই জনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অচিরেই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন সকালে এক কেজি গরুর মাংস ক্রয় করেন ইব্রাহিম হোসেনের বাবা মুজিবর রহমান। এ সময় শিশু ফাহিমকে দিয়ে ওই মাংস বাড়ি পাঠান তিনি। ফাহিম তাদের বাড়ি গিয়ে দেখে তাদের বাড়িতে কেউ নেই। এ সময় বাড়ির সামনে থাকা ভ্যানের ওপর মাংস রেখে চলে আসে শিশু ফাহিম। পরে মুজিবর রহমানের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি এসে দেখে মাংসের প্যাকেট কুকুরে টানাটানি করছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম ও ইসরাফিল ফাহিমকে ডেকে পাঠায় এবং জিজ্ঞাসা করে সে মাংসের প্যাকেট কোথায় রেখেছিল। ফাহিম উত্তর দিলে তারা তাকে বেদম মারপিট করে। এতে ফাহিমের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফেটে রক্ত বের হয়। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয় । তখন কোন উপায় না পেয়ে ফাহিমকে একটি বাক্সে বন্দি করে রাখে তারা। মৃত্যুর পর রাতে কোন এক সময় ফাহিমের লাশ রাতে পার্শ্ববর্তী একটি পাটক্ষেতে ফেলে দেয় তারা। পরে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে শিশু ফাহিম এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের চাচা মো. সিদ্দিক বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ##

নিউজবাংলা/একে

Share This:

Comments

comments

Previous: বিশ্বনাথে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ
Next: প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং বন্ধ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*