নিউজবাংলা: ১২ আগস্ট, বুধবার:
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার হতদরিদ্র এক গৃহবধুর সম্মানহানীর ঘটনায় কোথাও বিচার না পেয়ে অবশেষে তার ইজ্জতের মুল ৬০ হাজার টাকার নির্ধারণ করে রফাদফা করেছে স্থানীয় মাতাব্বররা।

অভিযোগে জানাযায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক পাঠানোছা গ্রামের মৃত. ময়নুল হোসেনের অবিবাহিত ছেলে সাবেক ভিপি ও বিএনপির নেতা আ স ম সাজ্জাত হোসেন পল্টন (৪০) গত ৫ আগষ্ট প্রতিবেশি সোহেল মিয়াকে দইয়ের মধ্যে অচেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ায়। পরে রাত গড়িয়ে আসলে সোহেল মিয়া অচেতন হয়ে পড়ে। এ সুবাদে সাজ্জাত হোসেন পল্টল ওই রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় সোহেলের স্ত্রী সারমিন বেগম (২৫) এর শয়ন ঘরে প্রবেশ করে জোরপুর্বক ইজ্জতহানী ঘটায়। এ সময় সারমিন বেগমের আত্বচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সাজ্জাত হোসেন পল্টন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সারমিন বেগম বিচার চেয়ে বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা বিষয়টি সমাধানের লক্ষে উভয় পক্ষকে ডাকেন। কিন্ত সাজ্জাত হোসেন পল্টন এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় চেয়ারম্যানের ডাকে উপস্থিত না হয়ে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়েছে। পরে এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হলে স্থানীয় মাতাব্বরদের চাপের মুখে গত মঙ্গলবার রাতে হতদরিদ্র গৃহবধু অবশেষে ইজ্জতের মুল্য ৬০ হাজার টাকায় রফাদফা করতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উভয় পক্ষকে ডেকে ছিলাম কিন্ত পল্টন উপস্থিত হয় নাই। এ ঘটনায় সাজ্জাত হোসেন পল্টন জানান, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করা হয়েছে।

নিউজবাংলা/একে