নিউজবাংলা: ১২ আগস্ট, বুধবার:
ঢাকা: ব্যাংকিং কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনায় এখন দেশের কোনো ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করতে পারবে না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের অধীনে আন্তঃব্যাংক পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস বা পস) লেনদেন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় এটাকে তিনি জাতির জন্য ‘গণপণ্য উপহার’ বলে অভিহিত করেন।
ব্যাংকিং সেক্টরের সব কিছু ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘অনেকে না জেনে অনেক কথা বলেন। এখন সুপারভিশনকে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এখন কেউ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ফাঁকি দিতে পারবে না। আর দেশের ব্যাংকিং খাতকে যত বেশি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা যাবে তত বেশি অনিয়ম-দুর্নীতি কমবে।’
অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, ‘আগে আন্তঃব্যাংক লেনদেন করতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে হত, এতে অনেক অর্থ খরচ হত। এখন তা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে করা যাবে এবং যা হবে বিনামূল্যে। এতে অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে। এটা জাতির জন্য গণপণ্য উপহার।’
তিনি বলেন, ‘আগামী অক্টোবরে আমরা আরটিজিএস চালু করবো। এতে টাইম ফর ডুয়িং বিজনেস ও কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমে আসবে। এখন পসের (বিপণী বিতানের পস মেশিন) মাধ্যমে বছরে ৫০০ কোটি লেনদেন হয়। আমরা এটাকে দৈনিক ৫০০ কোটিতে নিয়ে আসতে চাই। আমি ব্যাংকগুলোকে বলবো আপনারা ১০ টাকার অ্যাকাউন্টধারীদের ক্রেডিট কার্ড দিতে পারেন কি না দেখেন। স্কুলের বাচ্চাদের হাতে আমরা কার্ড তুলে দিতে চাই, যাতে তারা এটা ব্যবহার করে আইসক্রিম কিনতে পারে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের অধীনে আন্তঃব্যাংক পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস বা পস) লেনদেন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। বর্তমানে দেশের মোট কার্ড ব্যবহারকারীর ৬০ শতাংশই এ চার ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা রাজী হাসান, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজবাংলা/একে