নিউজবাংলা: ২৬জুলাই, রোববার :

মাগুরা : গাছে ঝুলছে আম। একেকটি আমের ওজন তিন থেকে চার কেজি পর্যন্ত। সবচেয়ে বড় আমটি লম্বায় ১৩ ইঞ্চি ও বেড় ১৮ ইঞ্চি। এর ওজন ৪ কেজি। একটি গাছে এ রকম ১১টি আম ধরেছে।

মাগুরার শালিখার শতথালি গ্রামের আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে গেলে দেখা যাবে বিচিত্র এই আম। নতুন জাতের আম উদ্ভাবন করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন তিনি। ঢাঁউস আকৃতির এই আম দেখতে ও চারা সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন লোকজন। মেয়ে ইয়াসমিনের নামে নতুন জাতের আমের নাম রেখেছেন ইয়াসমিন-১।

আতিয়ার রহমান জানান, তার প্রতিবেশী ইব্রাহীম হোসেন পাঁচ বছর আগে ব্রুনাই থেকে আমের একটি ডাল এনে তার বাড়ির আম গাছে কলম দেন। দুই বছর পর সেই গাছে দেড় কেজি ওজনের কয়েকটি আম ধরে। সেখান থেকে একটি ডাল এনে তার নিজের নার্সারিতে একটি ফজলি আমের গাছের সঙ্গে কলম বাঁধেন। গত বছর ওই গাছে ২ কেজি ওজনের ৫টি আম ধরে।

এতে তিনি আরো উৎসাহিত হয়ে আম গাছের ব্যাপক পরিচর্যা শুরু করেন। এবার তিনি আশাতীত ফল লাভ করেন। এবার গাছে ১১টি আম ধরেছে। প্রতিটির ওজন ৪ কেজির মতো হবে।

এ আম শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে পাঁকবে বলে জানান আতিয়ার রহমান। আমের রং ভালো ও স্বাদে কড়া মিষ্টি। মৌসুম ফুরিয়ে যাওয়ার পর এই আম পাঁকে বলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

আমের চারার জন্য প্রতিদিন লোকজন ভিড় করছেন। তিনি এখনই তাড়াহুড়ো করতে চান না। মাতৃগাছটি আরো বড় করে বংশ বিস্তার করতে চান। এ বছর তিনি ২০টি চারা তৈরি করবেন ।

শতখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা জানান, ‘আমি নিজে আমগুলো দেখে এসেছি। এত বড় আম আমি কখনো দেখিনি।’

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা জানান, ‘নতুন উদ্ভাবিত এই আমের জাত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আতিয়ার রহমানকে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে।’

 

নিউজবাংলা/একে