ঢাকা: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর (বীরোত্তম) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে রাজাকার বলার অভিযোগে দায়ের করা ওই মামলায় রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আলী মাসুদ শেখ শুনানির নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে কাদের সিদ্দিকী ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ হাজির হলে আদালত তাকে জামিন দেন। এরপর তিনি ১৪টি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ধার্য তারিখে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাদী এ মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন কাদের সিদ্দিকীকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজাকার। সরকারের মধ্যে রাজাকার রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব নয়। ৭১ সালে মখা আলমগীর ময়মনসিংহের এডিসি ছিলেন। রাজাকারদের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি, আমি সাক্ষী।’
মামলায় বলা হয়, মহীউদ্দীন খান আলমগীর বা তার পরিবারের কেউই রাজাকার নন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের অংশীদারিত্ব জাতির কাছে প্রমাণিত।
আসামির এ মিথ্যা বক্তব্যে বাদী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের মানহানি এবং মহীউদ্দীন খান আলমগীরে প্রায় দুই কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।