নিউজবাংলা: ১৭ অক্টোবর, শনিবার:
ঢাকা: প্রার্থিতা ফিরে পেতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর আপিল আবেদনের শুনানি (১৮ অক্টোবর) রোববার। ওইদিন বেলা ১১টায় তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর আপিলের শুনানিও করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) শুনানি নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন সিদ্দিকীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব লায়লা শারমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। রোববার বেলা ১১ টায় ইসি সচিবালয়ের সভা কক্ষে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আইনজীবীর মাধ্যমেও শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন তারা।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকী।
গত ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান ঋণখেলাপীর দায়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী। আপিলের সঙ্গে ঋণখেলাপের অভিযোগ সত্য নয় মর্মে একটি পত্রও জমা দেন। একই দিনে নাসরিন সিদ্দিকীও আপিল আবেদন করেন।
এতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশে কাদের সিদ্দিকীর নাম কেনো ঋণখেলাপীর তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার যুক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) জানিয়েছে, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা নামে কাদের সিদ্দিকীর একটি প্রতিষ্ঠানের নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং নাসরিন সিদ্দিকী যার পরিচালক। ওই ঋণখেলাপী হওয়ার কারণে তাদের দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
১৩ অক্টোবর বাছাইয়ের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী ও হাসমত আলী, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সাদেক সিদ্দিকী, বিএনএফের আতাউর রহমান খান এবং এনপিপির ইমরুল কায়েসের মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করেন। আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনের নির্বাচন হবে।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক এমপি লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করায় গত ১ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।