বাসাইলে আড়াই শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীতে বিলিন

নিউজবাংলা: ৩০ জুলাই, শনিবার:

\ এনায়েত করিম বিজয় \

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ঝিনাই নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের কারনে কাঞ্চনপুর, হাবলা ও কাশিল ইউনিয়নের কাশিল, দাপনাজোর, কামুটিয়া, নথখোলা, থোপিয়া, বালিনা ভৈরপাড়া, আদাজানের মানিকচর, কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়া, সোনারচরসহ বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী বিদ্যুতের খুটি, মসজিদ-মাদ্রাসা’সহ অনেক ঘর-বাড়ি হুমকির মুখে পরেছে ।

এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই শতাধিক ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার ভিটা-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত থেকে কাশিল কেবিএন কহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে  যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে ভবনটি। স্কুলের ভবনটি রক্ষা করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গাছের গুঁড়ি ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার আবেদন জানানোর পরেও স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় প্রতিবছরই এলাকার লোকজন নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সবর্স্ব হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে নদী তীরের অধিবাসী আমিনুর বলেন, আমার প্রায় ২০ শতাংশ জায়গা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। দুইটি ঘর সরিয়ে নিয়েছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বাসাইলের ঝিনাই নদীর তীরবর্তী কেবিএন বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন, খেলার মাঠ, বাজার, ঘর-বাড়ী এ ছাড়াও নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় অনেক কৃষকের ঘর-বাড়িসহ আবাদী জমি নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে । কেউ কেউ তাদের ঘর-বাড়ী সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
কাজিরাপাড়ার কৃষক ওহাব আলী বলেন, আমি ৩টি ঘর সরিয়ে নিয়েছি। আমার ভিটা-বাড়ির সম্পর্ণ জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখন থাকার জাগয়া টুকুও নেই। ঘর-ভিটা হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব।
কাশিল ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার মোঃ ছানোয়ার খান বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ কাশিল, কাঞ্চনপুর, হাবিলা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী অনেক ঘর-বাড়ির ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার ঘর-ভিটা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে কেবিএন বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আমি প্রাথমীকভাবে স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গাছের গুঁড়ি ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এতেও ভাঙ্গন থামানো যাচ্ছেনা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলিয়া শারমিন জানান, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এ পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গনরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউজবাংলা/ একে  

Share This:

Comments

comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*