রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিষয়ে রুলের শুনানি ২৮ মার্চ

নিউজবাংলা: ২৬ মার্চ, শনিবার:

ঢাকা: সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানির দিন আবার পিছিয়েছে।হাইকোর্টের দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে ২৮ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটের পক্ষের আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য ছিল, কিন্তু হাইকোর্টের কার্যতালিকায় দেখলাম একদিন পিছিয়ে ২৮ মার্চ শুনানির দিন রাখা হয়েছে। ওই দিন দুপুর ২টা থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি হবে’।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান নিয়ে শুনানি গ্রহণ করবেন।

অন্য দুই সদস্য বিচারপতি হলেন, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। একই সঙ্গে এই মামলায় আইনী সহায়তাকারী হিসেবে ১৪ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

আদালতে ড. কামাল হোসেন ও আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক ছিলেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনকালে কার্যত বিরোধী দলবিহীন চতুর্থ জাতীয় সংসদে ১৯৮৮ সালের ৫ জুন সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন হয়।
এর মাধ্যমে সংবিধানে অনুচ্ছেদ ২-এর পর ২ (ক) যুক্ত হয়। ২ (ক)-তে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম।

রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে এই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১৫ বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

এর ২৩ বছর পর রিট আবেদনকারী পক্ষ ২০১১ সালের ৮ জুন একটি সম্পূরক আবেদন করে। তার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সেদিনই বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়েছিল।

একই সঙ্গে হাইকোর্ট অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ১৪ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করে।

তারা হলেন- টি এইচ খান, কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, এম জহির, মাহমুদুল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আখতার ইমাম, ফিদা এম কামাল, আজমালুল হোসেন কিউসি, আবদুল মতিন খসরু, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন।এদের মধ্যে এম জহির ও মাহমুদুল ইসলাম মারা গেছেন।

২০১১ সালের ২৫ জুন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের ওই ২ অনুচ্ছেদ আবারও সংশোধন করা হয়। এরপর রিট আবেদনকারী পক্ষ পঞ্চদশ সংশোধনীতে থাকা ওই বিধান চ্যালেঞ্জ করে সম্পূরক আবেদন করে।

শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সম্পূরক রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা ২ (এ) অন্তর্ভুক্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্ব পালনের পর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে গত বছর অবসরে যান। দীর্ঘদিন পর রুলটির চূড়ান্ত শুনানির জন্য সোমবার দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

 

নিউজবাংলা/ একে

 

Share This:

Comments

comments

Previous: জেনে নিন মশা তাড়ানোর সহজ প্রাকৃতিক উপায়
Next: ইয়েমেনে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*