নিউজবাংলা: ০৮ আগস্ট, শনিবার:

 

নিউজবাংলা ডেস্ক: প্রেমের টানে নওগাঁর এক শিক্ষিকা জামালপুর জেলার ইসলামপুরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ধর্ষিতাকে প্রথমে ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার আশাড়ন্দ গ্রামের গৃহশিক্ষিকা মোবাইল ফোনে প্রেমের টানে ৩১ জুলাই ঘর ছাড়েন। জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মকুড়া গ্রামের মুইলে দেওয়ানীর ছেলে নূরনবীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

প্রেমিক নূরনবী বিয়ের কথায় তার প্রেমিকাকে ইসলামপুরে নিয়ে আসেন। পরে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫ দিন আটক রেখে নূরনবী ও তার সহযোগী ১২-১৩ জন তাকে ধর্ষণ করে।

অবশেষে ৪ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীর ও ইদ্রীস নামে ২ জন ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক ধর্ষিতাকে বন্ধুর স্ত্রী পরিচয়ে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের খোকার বাড়িতে রেখে যায়।

পরে খোকার স্ত্রী হাওয়া বেগম গণধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাদলকে জানান। চেয়ারম্যান পুলিশকে অবহিত করলে গত বুধবার সকালে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান গুরুতর অসুস্থ গৃহশিক্ষিকাকে প্রথমে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর থানার ওসি দ্বীন-ই-আলম জানান, ধর্ষণের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ধর্ষিতা জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার আশাড়ন্দ গ্রামে।

নিউজবাংলা/একে