নিউজবাংলা: ১২ আগস্ট, বুধবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের অগ্রণী ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের খপ্পড়ে পরে লাখ লাখ টাকা ঋণের বুঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাউসা ইউপির কামিরাই, চানপুর, টুনাকান্দি এলাকার কয়েক শত কৃষক।

.

.সারের ভর্তুকির নামে ওই সব কৃৃষকের হাতে মাত্র ৫শত টাকা তুলে দিয়ে তাদের ছবি সংগ্রহ করে কতিপয় অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা ও স্থানীয় একদল দালাল। কয়েক বছর পর দেখা যায় ওই কৃৃষকদের নামে অগ্রণী ব্যাংক থেকে তাদের নামে ২৫/৩০ হাজার টাকার ঋণের চিঠি।

উক্ত চিঠি পাওয়ার পর পরই বিগত ২০১২ ইং সালের ১৭ নভেম্বর দলবদ্ধভাবে ভুক্তভোগী কৃৃষকরা তাদের নামে ভুয়া ঋণের বুঝা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করে তা প্রত্যাহারের দাবীর পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

এ বিষয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন।

অগ্রণী ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানাজার, অসাধু অফিসার ইদ্রজিৎ দাশ, কতিপয় দালাল আবুল কালাম, আব্দুল হাই ও সুবিনয় দাশ মিলে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। আর ওই টাকার দায় পড়েছে এখন অসহায় কৃৃষকের কাধে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করার জন্য তাদেরকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে আনলে হতাশার মাত্র বেড়ে উঠে।

দুদুক কার্যালয়ে থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমানের নিকট তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য প্রেরন করলে হাফিয়ে উঠেন কৃষকরা। অন্যের ঋনের বুঝা নিজ নিজ মাথায় নিয়ে চরম হতাশায় ভোগছেন।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমান জানান, দুদুকের প্রেরিত পত্রে ভিত্তিতে তদন্ত কালে দেখা যায়, বাউসা ইউপির কামিরাই, চান্দপুর, টুনাকান্দি, হরিধরপুর, বদরদি ও ধুলচাতল গ্রামের নাম উল্লেখ করা হলেও বেশীর ভাগ লোকের ছবি’র সাথে নামের মিল নেই। অনেকের ঠিকানা ও কাগজপত্র ভুয়া রয়েছে।

নিউজবাংলা/একে