সবুজ-শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। বেশি দিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে নজরে পড়তো অনেক অনেক মাটির ঘর।যাকে গ্রামের মানুষ বলেন, গরিবের এসি ঘর।
ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচণ্ড গরম ও খুব শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর হবিগঞ্জে তেমন একটা নজরে পড়ে না।
গ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সরকারি সহায়তা মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে এবং কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করে গরিব পরিবারগুলো এখন তৈরি করছে ছোট-বড় আধাপাকা বাড়ি। যার নিচের অংশ ইট-সিমেন্টের তৈরি, উপরের অংশে দেওয়া হয় টিনের তৈরি ছাউনি।
এক সময় হবিগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাতেই মাটির ঘর চোখে পড়তো। মাটির ঘরকে স্থানীয়ভাবে ‘কোঠার ঘর’ বলে থাকেন অনেকেই। তবে সামান্য কয়েকটি জায়গা ছাড়া এখন আর কোথাও এ ঘর দেখা যায় না।
এখন বর্তমানে চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকায় সামান্য কিছু মাটির ঘর দেখা যায়। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলার কেন্দুয়াবহ গ্রামেও রয়েছে কয়েকটি মাটির ঘর।
ঘরের গাঁথুনি দেওয়ার সময় কারিগররা একটি স্তর (১ থেকে দেড় ফুট) মাটি দিয়ে গেঁথে ফেলেন। এ অংশ শুকিয়ে গেলে আবারো গাঁথুনি শুরু করেন। এভাবে মাটির ঘর তৈরি করে ছাদ হিসেবে বাঁশ ও তার উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে থাকেন। ফলে এই ঘরটিতে সবসময় ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। ঘরের ভিতর ও বাইরে আকর্ষনীয় করার জন্য গ্রামীণ আল্পনায় গৃহবধূরা কাঁদা-পানি দিয়ে লেপ দিয়ে থাকেন। অনেকে এই মাটির ঘরে সিমেন্টের লেপ দিয়ে আরো মজবুত করে তোলেন।