নিউজবাংলা: ৪জুলাই, শনিবার:
ময়মনসিংহ : নান্দাইলের চাঞ্চল্যকর চারজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত জামাল হোসেন নামে এক সন্দেহভাজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নান্দাইল বাশাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে শনিবার ভোরে জামালের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন খুনী লাল মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, জামাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার মৃত্যও রহস্যজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। আর এ ঘটনায় খোকন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার রাতে ছোট ভাই এবং তার তিন ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে বড় ভাই লাল মিয়া ও তার ছেলেরা।
নিহতরা হলেন- বিল্লাল হোসেন (৫৫), ফরিদ (৩০) ও তার ছেলে পাভেল (১৮) ও হিমেল (১৬)। পাভেল ও হিমেল স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রাতেই চারজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সকালে টাকা ধার নিয়ে নান্দাইল উপজেলার বাশাটি গ্রামের লাল মিয়া এবং তার ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাত সোয়া ১০টার দিকে বিল্লাল হোসেনের পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের কোপায় বড় ভাই লাল মিয়া এবং তার ছেলে জামাল হোসেন ও কামাল হোসেন। এতে ঘরের ভেতরেই মারা যান বিল্লাল হোসেন ও হিমেল।
অপর দুই ছেলে ফরিদ ও পাভেল আহত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয়দের অনেকে এ ঘটনা দেখে ফেলায় দ্রুত পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
আর গুরুতর আহতাবস্থায় বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী বানেছা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নান্দাইল উপজলোর ৪নং চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, সামান্য টাকা ধার করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঝগড়া ও দিনের বেলায় সংঘর্ষ ঘটে। এর জের ধরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে তা ছিল চিন্তার বাইরে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।