ইফতারিতে হালিম নয়
নিউজবাংলা: ৭জুলাই, মঙ্গলবার:
ঢাকা : প্রতিটি রোজাদারের কাছে ইফতারের সময়টা উৎসবের মতো আনন্দের।
সামর্থ্য অনুযায়ী থাকে খাবার আয়োজন। অন্যান্য সব খাবারের ভিড়ে থাকতে পারে মুখরোচক নানা খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে সে খাবার যেন কোন ভাবেই শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ না হয়। তাই সব খাবারই খেতে হবে পরিমাণ মত ও সময়মত।
রোজার মাসে তিনভাবে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। প্রথমত আমাদের খাবারে ব্যালেন্সিং করে, দ্বিতীয়ত খাবারের মডারেশন করে, তৃতীয়ত খাবারের ডিরিগেশন করে।
রোজায় আমরা ইফতারির সময় হালিম না খেয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পরিমাণমতো হালিম খেতে পারি। ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবারের ভিন্নতা থাকতে হবে। যেমন আজ যদি কেউ ইফতারিতে বেগুনি রাখেন পরের দিন পেয়াজু রাখবেন।
ইফতারিতে হালিম না খেয়ে রাতে ঘুমাবার আগে অল্প পরিমাণ হালিম খাওয়া উচিৎ। আযানের একটু আগে সেহরি খেলে শরীরে সারাদিন এনার্জি পাওয়া যাবে। এছাড়া ইফতার কিংবা সেহরিতে ইসুপ গুলের শরবত শরীরের জন্য উপকারী।
অনেক ক্ষেত্রে আমরা ডাব কিনে খেতে পারি না সে ক্ষেত্রে ইসুপগুল বা বেলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। ইফতারির পরে চিনি ছাড়া যে কোনো ফলের জুস খেলে পেট ঠান্ডা থাকবে। এছাড়া ছোলাতে শশা, টমেটো মাখিয়ে খেলে তা হবে আরও পুষ্টি সম্মত।
ইফতারিতে কম খেতে হবে। রাত ৯টার মধ্যে রাতের খাবার খেলে হজম হতে সুবিধা হবে। সেহরি আযানের একটু আগে করলে সারাদিনের ক্লান্তি কমে আসবে। এছাড়া ইফতার থেকে শুরু করে সেহরির আগ পর্যন্ত কমপক্ষে দুই লিটার পানি খাওয়া উচিৎ।
নিউজবাংলা/একে