নিউজবাংলা: ১০ জুলাই,শুক্রবার :
ঢাকা : লজ্জাবস্ত্র নেই; সে অর্থে নেই কোনও আভরণ। পরনে শুধু অন্তর্বাসটুকু! কোনও মতে ঢাকা নারীর চরম লজ্জা!

গলায় ঝোলানো পোস্টারে চীনা অক্ষরে লেখা কয়েক কথা, ‘আমি আমার শরীর বিক্রি করতে চাই।’ চীনের চিয়াংসি প্রদেশের রাস্তায় গুটি গুটি পায়ে চলছে সে মেয়ে। মাথা নিচু, ব্লান্ট কাট চুলে, যতটা আড়াল করা যায় মুখখানি।

এটুকু পড়ে মনে হতেই পারে, এ কোনও কলগার্ল, মন্দাদিনে কাস্টমার ধরতে যাকে এভাবে নেমে আসতে হয়েছে রাস্তায়। মনে হতে পারে, এটা কারবারি কৌশল, শরীর ফাঁদে কাস্টমার ধরার একটা live বিজ্ঞাপন।

এ সবই আমাদের মনে হওয়া। আসলে মদ্যপ স্বামী জং আকণ্ঠ গিলে, স্ত্রী ওয়াং নিকে নামিয়েছে রাস্তায়। না, স্ত্রীকে নিষিদ্ধজীবনে নামিয়ে সে অর্থে ফূর্তি করতে নয়। পরকীয়ার শাস্তি দিতে। অন্য এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। তা, জেনে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি ওই ব্যক্তি। রাস্তার মধ্যে স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করে, ঘুরতে বাধ্য করেন। তার আগে প্রচণ্ড মারধরও করেন।

স্ত্রী যাতে পালাতে না পারেন, সে কারণে গাড়ি করে পিছু নেন ওই পুরুষ। চাইনিজ মিডিয়ায় সেই নির্লজ্জ ছবি ধরা পড়ে। পরে অবশ্য, এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন জং।

জানা গিয়েছে, জং ও ওয়াংয়ের দশ বছরের বিবাহিত জীবন। দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের। প্রোমোটারির কাজ করায়, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে থাকতে পারেন না। দু’জনে থাকেন ভিন্ন শহরে। দীর্ঘ দাম্পত্যের সেই একাকিত্বেই হয়তো পা ফস্কেছিল ওয়াংকের। তার জন্য এমন চরম সাজা!

মদ্যপ স্বামীর হুঁশ ফেরায়, বুঝেছেন, ভুল হয়ে গেছে বিলকুল!

নিউজবাংলা/একে