নিউজবাংলা: ১০ জুলাই,শুক্রবার :
ঢাকা: আমাদের দেশে রমজান মাস এলে যে উপকরনটি ছাড়া ইফতারই হয় না তা হচ্ছে ছোলা।

ইফতারে মুরি, পেঁয়াজু, ও চপের সাথে যে উপকরণটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে, সেটি হচ্ছে ছোলা।
আমাদের সাংস্কৃতিতে এ খাবার এমন ভাবে জরিয়ে গেছে যে, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান নির্বিশেষে সবাই এ খাবারটি খেয়ে থাকি। ছোলা শুধু সাংস্কৃতিরই অংশ নয় এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। আজ জানবো এটি আমাদের শরীরে কি কি উপকার সাধন করে:
রক্তচাপ:

জাতীয় স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি পরীক্ষার জরীপ অনুযায়ী ছোলার লো সোডিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ছোলার ভিটামিন-বি হৃৎপিন্ডের দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:

উচ্চ ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি -6 কন্টেন্ট, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়, এর ডাল ফাইবার সমৃদ্ধ যা রক্তে কলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খেলে হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯% কমে যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ:

সেলেনিয়াম, যা সাধারণত ফলমূল ও শাকসবজি উপস্থিত থাকে, কিন্তু এটা ছোলাতেও পাওয়া গেছে। এটা লিভারের এনজাইম ফাংশনে একটি ভূমিকা পালন করে, ফলে শরীরের ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও এটি প্রদাহ ও টিউমার কমিয়ে দেয়।

কলেস্টরেল:

ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কলেস্টরেল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবন।

কোষ্ঠ কাঠিন্যে দূর করে:

ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠ কাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে। এতে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়।

ডায়াবেটিসে উপকারী:

১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল।

প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়াও আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এ সবই শরীরের জন্য কাজে লাগে। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। ছোলাতে আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্য তালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পরে না। -সূত্র : মেডিক্যাল নিউজ টুডে।

সম্পাদনা: তাহমিনা শাম্মী।

নিউজবাংলা/একে