নিউজবাংলা: ১১ জুলাই,শনিবার :
মোঃ রুহুল আমীন, আত্রাই (নওগাঁ)।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আত্রাই উপজেলার সর্বত্র জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ভিড় এড়াতে আগাম কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা।
দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে দোকানীরা হিমশিম খাচ্ছে। সদরের দোকান গুলোতে মহিলাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে বেশি। দেশি কাপড়ের তুলনায় ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। দাম একটু বেশি হলেও চাহিদা মতো নানা ডিজাইনের কাপড় কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। অপরদিকে, অভাবি লোকেরা পড়েছে মহাবিপাকে। পরিবারের ছেলে মেয়েদের চাহিদা পূরণ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। না পারছে চাহিদা অনুযায়ী পোশাক কিনতে, আবার না কিনেও পারছে না। আনন্দের বার্তা তাদের জন্য নিরানন্দ বয়ে এনেছে।ষ্টেশন বাজার শাড়ি কাপড়ের দোকান হিমেল গার্মেন্টস স্বত্বাধিকারী হেলাল জানান, এ বছর বিক্রি ভালো হবে বলে মনে করছেন। ভারতীয় এবং দেশি শাড়ির ব্যাপক সমাহার ঘটানো হয়েছে ফলে ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি অনেকটা বেশি হবে বলেও তারা মনে করছে। আর কে ফ্যাশানের প্রোপ্রাইটার মোঃ জহুরুল ইসলাম বুলু জানান, এবার মনে হচ্ছে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা ভালোই হবে। তিনি জানান, দেশি পোশাকের চেয়ে ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। এবারে মেয়েদের কিরণ মালা বেশি চলছে। রেজিস্ট্রি অফিস বাজার ঘুরে দেখা গেছে থ্রিপিস হিসেবে নতুন এসেছে কিরণমালা, আসিকি-৩, ঝিলিক, কারিনা, শোলক, পিইউ, অরি টাপুর-টুপুর, রুহি অদিতি, মাজাক কালি, হাসি-খুশিসহ ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত সিরিয়ালের চরিত্রগুলোর নামে পোশাক বিক্রি হচ্ছে।সকাল থেকে রাত ৯/১০টা পর্যন্ত সুপার মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর মেয়েরা পাখি, পিউ, ঝিলিক ও চুড়িদাড় ড্রেস সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে। শিশু কিশোরদের নানা ডিজাইনের পোশাকের পাশাপাশি মেয়েদের ড্রেসের সাথে মিল রেখে চুড়ি, কানের দুল কিনতে কসমেটিক্সের দোকানেও ভিড় বাড়ছে দিন দিন। স্বল্প আয়ের লোকেরা ভিড় করছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। তারা ছেলেমেয়েদের কাপড় চোপড় কিনতে হিমসিম খাচ্ছে। আয়ের সাথে তাল রেখে ছেলেমেয়েদের জন্য কেনাকাটা করতে পারছে না। উপজেলা নিউ মার্কেট সিটি বস্ত্রালয় স্বতািধকারী আবুল কালাম আজাদ লুলু খান বলেন, মহিলাদের শাড়ির জগতে এবারও জামদানি, কাতান, জর্জেট, টাংঙ্গাইল প্রিন্টের সাথে ভারতীয় ঝুট কাতান, নেট শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বাহারী সব জুতা সেন্ডেল বিক্রিতেও পিছিয়ে নেই পাদুকা ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে শাড়ি কাপড়, দর্জির দোকানে ভিড় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দর্জি দোকানে দর্জিদের বিরাম নেই। দিন রাত এক নাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছে। সামর্থ্য অনুযায়ী আগে ভাগে যার যা প্রয়োজন তা কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্রেতারা।
নিউজবাংলা/একে