নিউজবাংলা: ১৯ জুলাই, রবিবার :
ঢাকা: এক মাস রোজা ও ঈদের দিন অনেক খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে ঈদের পর অনেককেই নানা রকম অসুখ বা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে দেখা যায়।

এক মাস রোজায় অনেকেই ওজন বাড়িয়ে ফেলে। আবার অনেককেই অপর্যাপ্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার ক্রমাগত খাওয়ার ফলে এসিডিক বা গ্যাসজনিত সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। রোজার মাসে অনেক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত মিষ্টি বা চিনির শরবত গ্রহণ করার ফলে অনেককেই দেখা যায় রক্তের চর্বির মাত্রা বেড়ে যায়। আবার অনেকেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে চলে আসে। তাই রোজা ও ঈদের পর স্বাস্থ্য যত্ন অনেক জরুরি।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ঈদের পর যত দ্রুত সম্ভব শারীরিক কিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। যেমন- রক্তের লিপিড প্রোফাইল, ক্রিয়েটিনিন, ব্লাড সুগার, লিভার ফাংশন টেস্ট ইত্যাদি। এই পরীক্ষাগুলো থেকে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন মোটামুটি কেমন আছেন। যাদের আগে থেকেই এই সমস্যাগুলো ছিল তারা ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাবেন এবং ওষুধ ঠিক করে নেবেন।

ওজন ঠিক করা

রোজায় অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। তাই রোজা ও ঈদের পর ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করবেন। দৈনিক ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রণ করলে আবার ওজন কমিয়ে আগের জায়গায় যাওয়া যায়। যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় তবে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মতে ওজন কমালে তা ভালো মতো কমবে।

ঈদ পরবর্তী খাওয়া-দাওয়া

সামাজিকতা রক্ষার জন্য দাওয়াতে যেতেই হয়। কেননা ঈদের পর পারিবারিক দাওয়াতে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। যেমন : যদি রাতে দাওয়াত হয় তবে সকালের ও দুপুরের খাবার খুব কম খাওয়াই ভালো। সকালের নাস্তায় রুটি সবজি, দুপুরে প্রয়োজনে রুটি, ডাল, সবজি, সালাদ খাওয়া যেতে পারে। কেননা রাতের দাওয়াতে অনেক প্রোটিন ও ফ্যাট খাবার খাওয়া হবে। তাই সকাল থেকে একটু নিয়ন্ত্রণ করলে শারীরিক পুষ্টির চাহিদা বেশি তারতম্য হয় না। একইভাবে দুপুরে দাওয়াত থাকলে রাতে ও সকালের খাবার এই নিয়মে খেতে হবে। দাওয়াতে কোল্ড ড্রিংস ও মিষ্টান্ন এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো হয়।

ঘরের মেনু

ঈদের পর পর যেহেতু অনেক দাওয়াত খাওয়া হয় তাই ঘরের মেনু একটু ভেবে চিন্তে করতে হয়। ঈদের পর পর বাড়িতে ভাত, মাছ, সবজি, ভর্তা, সালাদ ইত্যাদি দেশীয় পদ্ধতিতে রান্না করা খাবার মেনুতে রাখলে ভালো। এ ছাড়া ঈদের পর বাইরের কেনা খাবার ও ভাজাপোড়া খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

নিউজবাংলা/একে