তাহিরপুরে ৯ বছরের এক শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা ২০ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা হয়েছে।
শিশুর পরিবারটি দরিদ্র ও অসহায়ের সুযোগে লম্পট ধর্ষণকারী গ্রামের কিছু মাতব্বরদের ভয় দেখিয়ে শিশুর বাবাকে আইনের আশ্রয়ে যেতে না দিয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে শিশুটির ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সোনাপুর গ্রামে গত ১৭ই জুলাই সকালে বাড়ির লোকজনের অগোচরে সোনাপুর গ্রামের এক শিশুকন্যাকে একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে লম্পট মহরম আলী (৪৫) বাড়ির পূর্বপাশে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বাগলি বাজারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ঘটনার পর থেকেই ধর্ষণকারী ও তার লোকজন শিশুটির পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বা থানা পুলিশকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। ফলে, শিশুটির পিতা ধর্ষকের ভয়ে থানায় মামলা করতে পারেননি। গত সোমবার সোনাপুর গ্রামের মাতব্বররা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে শিশুটির ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে দেন।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আইনাল মিয়া বলেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। যদি কেউ অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।