নিউজবাংলা: ৩০জুলাই : বৃহস্পতিবার:

ঢাকা: অভিনন্দন মিস্টার কনসিসট্যান্স। অবশেষে ব্যাট হাসলো মুশফিকুর রহিমের। ৩ উইকেটে ৮৬। প্রোটিয়াদের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং তখন কাঁপছে। উইকেটে আসলেন। আস্তে আস্তে সেট হলেন এবং দেখালেন তার মাস্টার ক্লাস ব্যাটিং, যেটা বেশ কিছু কিছুদিন ধরেই তার ব্যাটে অনুপস্থিত।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (চতুর্থ উইকেটে) গড়লেন রেকর্ড জুঁটি। সমালোচনার যোগ্য জবাব দিয়ে হাঁকালেন নিজের ১৫ নম্বর টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি, মাত্র ৭৯ বলে। টেস্টে ৭৯ বলে সেঞ্চুরি। মাত্রই তো।

জাতি হিসেবে আমরা আবেগপ্রবণ। আকাশে উঠতেও সময় লাগেনা, আবার মাটিতে নামতেও সময় লাগে না। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বাড়াবাড়ি করে ফেলি। কিছু দিন ধরে মুশফিক নিয়ে কতো কথাই না হয়েছে! তিন কদম এগিয়ে কেউ কেউ তো তার শেষ দেখে ফেললেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ইনিংসে তিনি ভালো করেননি ঠিকই, কিন্তু মুশফিকের শেষ দেখে ফেলাটা কষ্টকর এবং দু:খজনক। ক্রিকেট সম্পর্কে তাদের ধারনা গভীর নয়।

২,১৪,৩১,২৪, ১৭,২৯, ২৪। এই চিকন ইনিংসগুলো মুশফিকের মানের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে যায় না, কিন্তু এ পরিসংখ্যানে কান্নাকাটি করারও কিছু নেই। মেসি- রোনালদোরা প্রতি ম্যাচেই গোল করেন না। শচীন টেন্ডুলকার প্রতি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাফ সেঞ্চুরি করে যাননি। মানুষের তো আর অতি মানব হওয়ার সুযোগ নেই। সেটা থাকলে  ম্যারোডোনা ৯১ আর্ন্তজাতিক ম্যাচে ৩৪ গোল না করতেন ৯১ গোল।

আসলে খেলা এমনই। আজ আপনার তো কাল আরেকজনের। প্রতিদিনই যদি আপনার হয় তাহলে অন্যরা কি বসে বসে হুক্কা টানবে?

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আশা করি এ ম্যাচেই রানে ফিরব আমি। কথা রেখেছেন। জবাব দিয়েছেন। টেনে তুলেছেন বাংলাদেশকে। এটাই যে মুশফিকের আসল রুপ।

 

নিউজবাংলা/একে