নিউজবাংলা: ৩০জুলাই : বৃহস্পতিবার:

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বেচাকেনা শুরু হয়েছে নতুন পাটের। কষ্ট-ক্লিষ্টে পাট চাষীরা বাজারে পাট বিক্রি করতে আসলেও অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে তারা পাটের নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ না ওঠায় পাঠ চাষীরা পাট চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ।

এদিকে পুরোদমে পাট বেচাকেনা শুরু হলেও এখনো সরকারীভাবে নির্ধারন হয়নি ক্রয়মূল্য। যার ফলে চাষীদের উৎপাদন ব্যয়ের বিপীরতে লোকসান গুণতে হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য না থাকায় ক্রেতারাও স্থানীয় বাজারগুলোতে পাট ক্রয় করছে নিজেদের ইচ্ছেমতো। এজন্য ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে। এরপরে হাটেই পাটের মূল্য গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে কমছে বলে পাট চাষিরা জানান।

চলতি বছর গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়। যা গত বছরের চেয়ে ২০ ভাগ কম। তবে এজেলার মোট উৎপাদনের ৭০ ভাগই উৎপাদন হয় জেলার চরাঞ্চলের উপজেলা সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগগঞ্জে। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলে পুরোপুরিভাবে পাট কাটতে শুরু হয়েছে। বাজারেও উঠছে পাট।

একসময়ে জেলার প্রতিটি অঞ্চলে পাটের ব্যাপক চাষ লক্ষ্য করা যেত। এই অঞ্চলের পাট ঢাকা, নায়ায়নগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদাও পুরণ করত। কিন্তু গত কয়েক বছরের পাটের চাষ ক্রমানয়েই হ্রাস পাচ্ছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে।

উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী চাষীরা প্রকৃত মূল্য না পাওয়ায় বছরে বছরে পাটের চাষ এই অঞ্চলে কমেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এই অর্থকারী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে সরকারের পাটের বিশেষ বাজার ব্যবস্থাপনা ও মূল্য নির্ধারণ একান্ত অপরিহার্য বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। অন্যথায় এই জেলায় আগামী মৌসুম থেকে পাটের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

নিউজবাংলা/একে