দুর্বল হয়ে আসছে কোমেন, বিপদ সংকেত বহাল
নিউজবাংলা: ৩০জুলাই : বৃহস্পতিবার:
ঢাকা: উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় কোমেন কিছুটা উত্তর দিকে সরে গেছে। তবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় জারি করা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে ঊপকূলীয় এলাকায় ঝড়টির আঘাত হানার শঙ্কা কিছুটা কমে এসেছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার উপকূল থেকে ৮৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল কোমেন।
বর্তমানে এটি স্থির রয়েছে। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। উপকূল অতিক্রম করার পর এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে শঙ্কা কিছুটা কমলেও বিপদ সংকেত অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা জেলা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ০৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল ৩টার দিকে একই স্থানে অবস্থান করছিল। বাতাসের গতিবেগ পরিবর্তন না হলে এটি আঘাত হানার আশঙ্কা কম।
বৃষ্টিপাত হলে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নষ্ট হবে। আর বৃষ্টিপাত না হলে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল দিয়ে বয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
নিউজবাংলা/একে