রাজশাহী অঞ্চলের মহাসড়কে খানাখন্দ ইট বিছিয়ে চলছে যান
Posted by: নিউজ ডেস্ক in সারাদেশ 11 Views
নিউজবাংলা: ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার:
সায়েম আক্তার, রাজশাহী প্রতিনিধি:
ঈদের আগের কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী ও নাটোর এলাকার মহাসড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোদাগাগাড়ী উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত এলাকা। এসব এলাকায় মহাসড়কের কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অনেক এলাকায় মহাসড়কে ইট বিছিয়ে হেরিংবোম বানিয়ে কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে সড়কটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের নাটোর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় মাঝে মাঝেই সংস্কার করাও হয়েছে। তবে সংস্কার কাজ সমতল না হয়ে অনেক উচু-নিচু হয়েছে। এসব এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। এতে দ্রুত গতির গাড়ী নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে চালকদের কাছে। ঢাকা কোচ চালক বাবলু জানান, সড়ক সমতল না হওয়ায় প্রায়ই গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। এরমধ্যে পুঠিয়ার ঝলমলিয়া, পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে হাসপাতালের মোড়, তারাপুর, বিড়ালদহ এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকায় খানাখন্দ ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকার সড়কে ইট বিছিয়ে হেরিংবোম করে দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বেড়েছে। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের মহানন্দা স্পেশাল বাসের চালক মনিরুজ্জামান জানান, বড় বড় খানা-খন্দের কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে সড়কটিতে। বড়বড় গর্তগুলোতে গাড়ীর চাকা পড়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব কষ্ট হয়। এসব স্থানে কিছুদিন আগেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ সংস্কার করেছে। কিন্তু সংস্কারের পরপর তা আবারো আগের চেহারা ধারণ করেছে। তিনি আরো জানান, মহাসড়কের এসব খানাখন্দ মেরামতের নামে সড়কে ইট বিছিয়ে হেরিংবাম রাস্তা করায় সড়কটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটু অসাবধান হলেই গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের কারণে এই সড়কে অসংখ্য যান চলাচল করে। অধিকাংশ যান নিয়ম না মেনে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি পণ্য নিয়ে চলাচল করে। তাই অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পবা উপজেলার হরিপুর, আন্ধারকোঠা, আলীমগঞ্জ, গোদাগাড়ী উপজেলার চাঁপাল, ছয়ঘাটি, রাজাবাড়িহাট, রেলগেট, সিএন্ডবি, মহিষালবাড়ি বাজার, উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়, সুলতানগঞ্জ, কামারপাড়া, সুইচগেট ও বালিয়াঘাট্টা মোড়ে অধিকাংশ এলাকার সড়কের কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বাস ও ট্রাক চালক মিনহাজুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম বলেন, সড়কের খানাখন্দের কারণে গাড়ীর গতি কমে গেছে। গন্তব্যে যেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। গাড়ীরও ক্ষতি হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রকৌশলী আবদুস সালাম জানান, বৃষ্টির কারণে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়কের ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংস্কার কাজ চলছে।
নিউজবাংলা/একে
২০১৫-১০-৩০
-
tweet
-
-
-
-
-