নিউজবাংলা: ০৮ আগস্ট, শনিবার

কুমিল্লা : কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রবাসীর স্ত্রী জামিনা বেগম অবৈধ সম্পর্ক গড়তে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেন তার ননদ ইয়াসমিনকে। এভাবে চাচাতো দেবর আলী হামজার সঙ্গে গড়ে ওঠে তাদের অবৈধ সম্পর্ক। এক পর্যায়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ইয়াসমিন গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিয়ের চাপ দেওয়ায় ও বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ভাবী জামিনা বেগমের সহায়তায় প্রেমিক হামজা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন প্রেমিকা ইয়াসমিনকে।

.

শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি আলী হামজা।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ইয়াসমিন উপজেলার পীর ফতেহাবাদ ইসলামিয়া মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

ওসি জানান, হত্যা মামলাটি তদন্তে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদুল আলম ভূইয়া ও এসআই নুরুল ইসলাম মজুমদারের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়। তিন দিনের অভিযানে নিহতের প্রেমিক (চাচাতো ভাই) আলী হামজা (২৬) ও ভাবী জামিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভাবী জামিনা বেগম বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করেন। শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য হন্যে হয়ে সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে ননদ ইয়াসমিনকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি। এভাবে তার বিছানো জালে আলী হামজা পা দিয়ে দুই জনের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে তোলে।

ওসি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে আলী হামজা ভাবী জামিনা বেগম এবং প্রেমিকা ইয়াসমিনের সঙ্গে তার অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক, প্রেমিকার গর্ভবতী হওয়া, গর্ভধারণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ার ভয়ে ও বিয়ের চাপ থেকে বাঁচার জন্য ভাবির সহায়তায় প্রেমিকাকে ভাবীর ঘরে ডেকে এনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

বিকেলে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হলে এসব বিষয় উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছেন আলী হামজা।

এদিকে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জামিনা বেগম হত্যায় সহায়তা ও মরদেহ লুকানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

নিউজবাংলা/একে