নিউজবাংলা: ০৮ আগস্ট, শনিবার:

ঢাকা: গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ স্কুল বা মাদ্রাসায় পর্যাপ্তসংখ্যক বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। থাকলেও তাঁরা যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। এ কারণে গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় তেমন একটা ভালো ফল করতেপারে  না। স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে মানসম্মত শিক্ষার প্রসার, শিক্ষক স্বল্পতা ও ঝরে পড়া রোধ করে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখার হার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পে ২০১৬ সালের জন্য দেশের ৬৪টি জেলার নির্ধারিত ৬৪টি উপজেলায় অবস্থিত একহাজার  স্কুল ও মাদ্রাসায় তিন হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান মজলিশ। তিনি বলেন, এ নিয়োগে চুক্তির মেয়াদ হবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি স্কুলে তিনজন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীব) এই তিনটি বিষয়ে শিক্ষক নেওয়া হবে। পুরুষ প্রার্থীর পাশাপাশি মহিলা প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমা না থাকায়অবসরপ্রাপ্ত  শিক্ষকেরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন। তবে প্রার্থী যে জেলার বাসিন্দা তাঁকে সেই উপজেলার নির্ধারিত স্কুল বা মাদ্রাসায় কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করতে হবে ১৩ আগস্টের মধ্যে। প্রতিটি স্কুলে তিনজন নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী যে জেলার বাসিন্দা তাঁকে সেই উপজেলার নির্ধারিত স্কুল বা মাদ্রাসায় কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে আবেদন


প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করতে হবে ১৩ আগস্টের মধ্যে পদে আবেদন করতে হলে ওয়েবসাইট
http://www.seqaep.gov.bd/jobs এই
ঠিকানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন পূরণ করার পর প্রার্থীকে অনলাইন আবেদনপত্রের কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরিম বা ডাকযোগে ২০ আগস্টের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক বরাবর পাঠাতে হবে। আসাদুজ্জামান খান মজলিশ জানান, প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে এ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শুধু নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা সেকায়েপের ওয়েবসাইট ও নির্বাচিত প্রার্থীদেরমুঠোফোনে  খুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হবে। প্রার্থীদের কোনো বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবেনা।  আগামী জানুয়ারিতে তাঁদের নির্ধারিত উপজেলার স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ করাহবে । এ পদে আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩০০নম্বর  পেয়ে স্নাতক পাস। তবে স্নাতক (সম্মান ও পাস) পর্যায়ে ৫০ ভাগ বা সিজিপিএ ৪-এ ২.৫ পেয়েপাস  করতে হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রথম শ্রেণির স্নাতক পাস একজন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক( এসিটি) সর্বসাকল্যে মাসিক বেতন ২৫ হাজার টাকা পাবে। অন্যদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক পাস একজনএসিটি  সর্বসাকল্যে ২২ হাজার টাকা বেতন পাবেন। এসিটি বিষয় শিক্ষক তাঁদের কর্মকালে প্রতিষ্ঠানেরনিয়মিত  শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। প্রত্যেক অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষককে মাসে নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও ন্যূনতম ১৬টি অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। এই অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের আট হাজার টাকা প্রণোদনা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাপাওয়া  যাবে, যা বেতনেরমধ্যে  অন্তর্ভুক্ত আছে।বিস্তারিত  জানতে: এইনিয়োগ- সংক্রান্ত যেকোনো
বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করতে পারেন এইনম্বরে- ৯৫৫৫১৩৭। এ ছাড়াভিজিট  করতে পারেনwww.seqaep.gov.bd  এই
ঠিকানায়

নিউজবাংলা/একে