নিউজবাংলা: ১৩ আগস্ট,বৃহস্পতিবার:

ঢাকা: পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট বা এমকিউএম সদস্যরা। বন্দরনগরী করাচিতে নিরাপত্তা অভিযানের প্রতিবাদে জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ এ খবর দিয়েছে। খবর: রেডিও তেহরান ।

 

 

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর এমকিউএম দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক সাত্তার বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর এমকিউএম সদস্যরা জাতীয় পরিষদ, সিনেট ও প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, এর আগে ইমরান খান, আসিফ আলী জারদারি, মুনওয়ার হোসেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সেনাবাহিনীর সমালোচনা করলেও একমাত্র এমকিউএম নেতা আলতাফ হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। তিনি আরো দাবি করেন, তিনি সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও সে সুযোগ দেয়া হয় নি।

ফারুক সাত্তার দাবি করেন, করাচিতে সন্ত্রাসী হিসেবে রেঞ্জার্স বাহিনী এমকিউএম’র যেসব নেতাকর্মীর নামের তালিকা করেছে তা ভুয়া। তিনি তার ভাষায় বলেন, করাচিতে সন্ত্রাসী অভিযানকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে এবং আসল অপরাধীদেরকে নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় রাবিতা কমিটির ম্যারাথন বৈঠক শুরু হয়ে বুধবার সকালে তা শেষ হয় এবং ওই বৈঠকেই দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়।

সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদে দলটির ৫১ আসন, জাতীয় পরিষদে ২৪ এবং সিনেটে আটটি আসন রয়েছে। যদি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় তাহলে তাদের এসব আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে ও উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়বে। এমকিউএম দলের বেশিরভাগ প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদের আসন হচ্ছে করাচি নগরীতে।

এদিকে, এমকিউএম দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সমালোচনা করে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, করাচিতে সন্ত্রীদের বাঁচানোর জন্য তারা পদত্যাগ করেছেন। জাতীয় পরিষদের স্পিকার আইয়াজ সাদিক বলেছেন, এমকিউএম সদস্যরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন -এমনটা প্রমাণিত হলে তাদের এসব পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি’র জাতীয় পরিষদ সদস্য আলিজা ইকবাল হায়দার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এতে তিনি ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। আলিজা জাতীয় পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে মনোনীত হয়েছিলেন এবং বর্তমানে তিনি পিপিপি চেয়ারপারসন বিলওয়াল ভুট্টোর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার জাভেদ আব্বাসি বলেছেন, আলিজার আসন শূন্য ঘোষণা করা হতে পারে।

নিউজবাংলা/একে