বগুড়া : বগুড়া জেলার ধুনটে অলৌকিকভাবে নারী থেকে পুরুষে রুপান্তরিত হয়েছেন সানজিদা খাতুন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আনারপুর গ্রামে।
গত সোমবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই স্কুলছাত্রীকে দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আনারপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল বারিকের মেয়ে সানজিদা খাতুন ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। আব্দুল বারিকের ৪ মেয়ের মধ্যে সানজিদা সবার ছোট। গত একমাস আগে সানজিদা তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন টের পায়।
এ বিষয়ে সানজিদা তার মা ডলি বেগমকে জানায়। তবে লোকলজ্জার ভয়ে তার মা বিষয়টি গোপন করে রাখে। একপর্যায়ে গত ২১ জুলাই রাতে সানজিদার যৌনাঙ্গ ও শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়। তারপর থেকেই সানজিদা তার পরিবারের সাথে পুরুষের মতো আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে সে তার মাথার চুল কেটে তার পরিবারের সাথে পুরুষের মতো চলাফেরা করে।
সকালে সানজিদার পুরুষে রুপান্তরিত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাকে এক নজর দেখতে দূর দূরান্ত থেকে হাজারো উৎসুব জনতা ভীড় জমায়। সানজিদাকে দেখতে গিয়ে ধুনট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক আব্দুল বারিক স্কুল সাটিফিকেট অনুযায়ী তার নাম সানজিদা থেকে সানজিদুর রহমান বলে উৎসুক জনতার মাঝে ঘোষণা করেন।
সানজিদার মা ডলি বেগম জানায়, এক রাতে স্বপ্নের মধ্যে আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে তার সব কিছুই পরিবর্তন হয়। আমাদের কোনো ছেলে সন্তান ছিল না। তাই আল্লাহ আমাদের মেয়েকে ছেলে বানিয়েছে।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় হরমন জনিত কারণে লিঙ্গ ও শারীরিক পরিবর্তন হতে পারে। তবে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।