নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:
রাজশাহী: শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা। নাটোর-পাবনা মহাসড়কের লালপুর উপজেলার কদিমচিলানে পাঁচ সদস্যের গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে থাকে।
কাগজপত্র ঠিক না থাকলে টাকা নিয়ে সকলকেই ছেড়ে দেয়া হয়। কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেয় না। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি চলে গোয়েন্দা পুলিশের এই অভিযান। কিন্তু হঠাৎ বিপত্তি।
এলাকার গোধরা গ্রামের যুবক আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে এসে দেখেন এক গোয়েন্দা পুলিশকে তার খুব চেনা মনে হচ্ছে। তিন দিন আগে দিনের বেলা এই মহাসড়কেই তার সিএনজি থ্রি হুইলার ছিনতাই হয়। সেই ছিনতাইকারীদের একজন এখানে গোয়েন্দা পুলিশের কাজ করছে।
কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন যুবককে সাথে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সেই চেনা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আনোয়ার। এসময় বাকি চারজন দ্রুত প্রাইভেটকারে উঠে পাবনার দিকে পালিয়ে যায়। আর ওই চেনা গোয়েন্দা পুলিশ দেন মাঠের মধ্য দিয়ে দৌড়। এরপর এলাকাবাসাী ধাওয়া করে আখ ক্ষেত থেকে তাকে আটক করে। আটক আলমগীর হোসেন পাবনা সদরের বলরামপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পরে তাকে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
নাটোরের লালপুর ও বড়াইগ্রাম থানা এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতারক ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেশি বলে জানান স্থানীয়রা। প্রকাশ্যে দিনের বেলা মহাসড়কে ভুঁয়া গোয়েন্দা পুলিশের এমন অভিযান পরিচালনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
লালপুর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের ভুয়া অফিসার পরিচয়দানকারী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দেয়া হবে।