নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সার্বক্ষণিক দেখ-ভালের জন্য নিযুক্ত করা হয় নার্স। নার্সদের কর্ম-দক্ষতা দেখে সন্দেহ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নার্সিং বিষয়ে তাদের কোনো ডিপ্লোমা বা বিএসসি ডিগ্রি নেই তারা শিক্ষানিবেশ। শিক্ষাগত যোগ্যতা কারও মাধ্যমিক অথবা উচ্চমাধ্যমিক। হাসপাতালে তাদের সবাইকে ৫ থেকে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর থেকেই তারা নিয়মিত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত হয়ে যান তারা। এ চিত্র একটি বা দুটি হাসপাতালের নয়, প্রায় সব সরকারী-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেরই একই অবস্থা। কদিন আগেও অদক্ষতার কারনে একটি ক্লিনিকে ভূল রিপোর্টের জন্য এক রোগী এখন মৃত্যু পথযাত্রী। এই বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ-বিহীন নার্স দিয়ে চলছে হাসপাতালগুলো।

তাদের নেই নার্সিং কাউন্সিলের নিবন্ধন। ডিপ্লোমা ও বিএসসি নিবন্ধিত নার্স।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব প্রশিক্ষণরত ও নিবন্ধনবিহীন নার্স হিসেবে নিয়োগের ফলে যেমন প্রকৃত নিবন্ধিত ও প্রশিক্ষিত নার্সরা চাকরি পাচ্ছেন না। পাশাপাশি হাসপাতালের রোগীরাও তাদের কাছ থেকেও কাক্ষিত স্বাস্থ্য-সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন কি ডাক্তারদের বিভিন্ন নির্দেশনাও তার সহজেই বুঝতে পারেন না। ফলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীকে ওষুধ দেয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রায়ই মারাত্মক ভুল করে থাকছেন। এরপরও এইসব হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ নার্সিং কাউন্সিলের আইন অমান্য করে কয়েকদিনের নামমাত্র প্রশিক্ষণ দিয়েই তথাকথিত নার্সদের ধারা চিকিৎসা চালাছেন। শুধু আর্থিক দিক বিবেচনা করেই তাদের নিয়োগ দেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশে অনিচুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুধু হবিগঞ্জেই হাজারো ভূয়া নার্সের, না যানী সারা দেশেই কতসব নার্স রয়েছে। অনিবন্ধিত নার্স নিয়োগ দেয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও কেউ আইন মানছে না। তিনি রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নার্সিং কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়াতে সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি আবার বলেন যে, বেশি কঠোর হলে প্রশিক্ষিত নার্সের অভাবে হাসপাতাল পরিচালনা কষ্টকর হয়ে যাবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায়-সব হাসপাতালগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ১৫/২০ জন ভুয়া নার্স কর্মরত। সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা সরাসরি স্টাফ নার্স হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত নন রোগী বেশী হওয়ার কারণে তাদের দিয়ে কাজ চালানো হয়। কিন্তু এই সব নার্সের কারণে অনেক রোগীর অবস্থা ভাল না হয়ে উল্টো আরো বেশী অসুস্থ হচ্ছেন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে তারা এইসব নার্স ও সেবিকা সহযোগী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে।

নিউজবাংলা/একে