নিউজবাংলা: ১৪ আগস্ট, শুক্রবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জ কলকল শব্দে বয়ে চলছে কুশিয়ারা নদী। কিন্তু তার পাশেই যেন বিশাল মরুভূমি। মাটি উর্বর হলেও সেচ সংকটের কারণে আমন ধান ছাড়া কোনো ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে না। আমন যে পরিমাণ জমিতে চাষ হয় তাও আবার প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।

 

বৃষ্টি না হলে পুরো বিনিয়োগই মাটি। তাই অনেকে আমন চাষ করা থেকেও বিরত থাকেন। কিন্তু এসব কিছুই এখন অতীত ইতিহাসের মতো স্থানীয়দের কাছে। শেভরন বাংলাদেশের সেচের ড্রেন নির্মাণ ও কৃষি সহায়তায় হবিগঞ্জের রাজবন্দ এখন তিন ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃ—ৃত রাজবন্দের পূর্বে দৌলতপুর, পশ্চিমে কুশিয়ারা, উত্তর-পুর্বে রাধাপুর এবং দক্ষিণে নাদামপুর গ্রাম অবস্থিত। ওপরের মাটি যেমন উর্বর ঠিক তেমনি এই মাঠের নিচে রয়েছে মহামূল্যবান প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভাণ্ডার। আর তাই এ মাঠে নলকূপ স্থাপন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ কারণে জমিতে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় এই জমিগুলো এতো দিন বছরের বেশিরভাগ সময় অব্যবহৃত থাকে। ওইসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেচের পানির জন্য বিকল্প উৎস কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল কৃষকদের কাছে অধরা। কুশিয়ারার কোল ঘেঁষে (বিবিয়ানা নদীর তীরে) স্থাপন করা বিআরডিবির গভীর নলকূপও ছিল তাদের ধরা ছোয়ার বাইরে। কৃৃষকদের এ সংকট দূূর করতে এগিয়ে আসে বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ। তারা বিবিয়ানার তীরে গভীর নলকূপ থেকে ড্রেন নির্মাণ করে রাজবন্দের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। আর এতেই ৫ গ্রামবাসীর কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এক ফসলি রাজবন্দের জমি এখন তিন ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। আউশ, আমন ও বোরো ধানের পাশাপাশি শসা, গম ও তরমুজ চাষে নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে জমির মালিকরাও অনেক খুশি। তাদের এক ফসলি জমিতে এখন বছরে তিনটি ফসলের চাষ হচ্ছে। মাঠের মধ্যে একদিকে চলছে আমন রোপনের ব্যস্ততা। তার পাশেই হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে কলাপাকা আউশ ধান।

নিউজবাংলা/একে