নিউজবংলা: ৫ অক্টোবর সোমবার:

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি ॥
ঈশ্বরদীর পাকশীতে আজ সোমবার ভোররাতে পাকশী পুলিশফাঁড়ির সহকারী টাউন দারোগা(এটিএসআই )সুজাউল ইসলাম এর হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

সরোজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়,নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ দেখতে পাকশীর শত শত লোক ভীড় করে আছে। পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল.রোববার সন্ধা থেকেই সুজাউল ইসলামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের সন্দেহ হলে তারা খোজাখুজি করেন কিন্তু তার কোন হদিস পান না। আজ সকালে পথচারী পাকশী রেলওয়ে কলেজের পেছনে পাকশী ষ্টেশন রোডের পাশে হলুদ ক্ষেতের ভেতর পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে তারা লাশ সনাক্ত করে।
নিহত পুলিশ সদস্যের ব্যবহার করা ডিসকভার হোন্ডা মটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটির কোন হদিস মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে দৃর্বৃত্তরা রাতের কোন এক সময় হত্যা করে লাশটি ফেলে রেখে যেতে পারে। তার কাছে সরকারী পিস্তল ছিল কিনা সে ব্যাপারে কেহ জানাতে পারেনি।
নিহত সুজাউল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর থানার শেখপাড়া এলাকায়। তার পিতার নাম আবুল কাশেম। ২০০৩ সালে সে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেয। গত এক বছর ধরে সে পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিল। তার স্ত্রী ও এক ছেলে পাকশী মেরিন পাড়ায় বাসা নিয়ে বসবাস করত।
এই ঘটনার খবর পেয়ে পাবনা পুলিশ সুপার,এএসপি সার্কেল,ওসি ও পরিদর্শক (তদন্ত) সহ পুলিশের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যার কোন মোটিভ উদ্ধার হয়নি। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ও তদন্ত বলেন,ঈদের আগে পাকশীর অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে সে গ্রেফতার করেছিল,যাদের অনেকেই এখন জামিনে মুক্ত রয়েছে। তাদের কেহ এ হত্যা কান্ডে জড়িত থাকতে পারে। তার ওপর সন্ত্রাসীদের হুমকি অব্যাহত ছিল। পাকশীর সন্ত্রাসীরাই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

নিউজবাংলা/একে