নিউজবাংলা: বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন:

ঢাকা: বিদ্যা সিনহা সাহা মিম। ২০০৭ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারষ্টার। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মিম হন হুমায়ূন আহমেদের ছবির নায়িকা। ‘আমার আছে জল’ ছবিতে অভিষেক হয় মিমের। বাণিজ্যিক ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে।

জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিটি সফল হলেও মিম বাণিজ্যিক ছবিতে ব্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। গত বছর মোস্তফা কামাল রাজের ‘তারকাটা’ ও খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘জোনাকির আলো’ ছবিতে অভিনয়ের পর নতুন করে মিম বড় পর্দায় ব্যস্ত হয়ে উঠার প্রয়াসী হন।

 

মিমের তুলনায় মাহিয়া মাহির ফিল্ম ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত সময়ের। ২০১২ সালে শাহিন সুমনের ‘ভালোবাসার রং’ ছবিতে অভিষেক হয় তার। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটানা এক ডজন ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন মাহি। শুধুমাত্র একজন নায়িকাকে নিয়ে কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ও নায়িকাকে দাঁড় করানোর অভূতপূর্ব রেকর্ড যুগপৎভাবে তৈরি করে জাজ-মাহি। জাজে থাকা না থাকা, বাইরে ও প্রযোজকের ছবি করা না করা নিয়ে সম্প্রতি মাহির ক্যারিয়ার নতুন বাঁক নিয়েছে।

 

মিম ও মাহির মধ্যে নামের আদ্যক্ষর ছাড়া মিল যৎসামান্যই। মিমের ক্যারিয়ার লম্বা ও ছোট পর্দামুখী। ব্র্যান্ড অ্যান্ডোর্সমেন্টে তার জায়গা প্রশংসনীয়। মাহির ক্যারিয়ার পুরোটাই সিনেদর্শকের ভালোবাসার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। টিকেট ঘরে তার জন্য লোকে ভিড় করে। কিন্ত ইদানিং মিম সামিল হয়েছেন নায়িকা দৌড়ে। ফলে অচিরেই মাহি ও মিমের প্রতিদ্বন্ধিতা অলংঘনীয়। তবে রুপালি পর্দায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই ফেসবুকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে নিতে পারছেন তরুণ প্রজন্মের পছন্দের এই দুই তারকা। ফেসবুকের ফলোয়ারের বিচারে ও অফিসিয়াল পেজে লাইকের বিচারে চিত্রনায়িকাদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন মাহি। এক মাস আগেও তিনি ছিলেন এক নাম্বারে। কিন্তু ছোটপর্দার অভিনেত্রীদের মধ্যে এ যাবৎ প্রথমে থাকা মিম তাকে সম্প্রতি টেক্কা দিয়েছেন। দেশের অভিনেত্রীদের মধ্যে মিম এখন ফেসবুকের মাপকাঠিতে এক নাম্বার তারকা।

মিমের অফিসিয়াল পেজ ভেরিফায়েড হয়েছে আরো আগেই। মাহির পেজও ভেরিফায়েড হয়েছে অনেকদিন হলো। দুজনেরই পেজে লাইক বাড়ছিল সাঁই সাঁই করে। কিন্তু মাহি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার পেজে লাইক ছিল দেখার মতো। তার একাউন্টে ফলোয়ার ছিল চোখে পড়ার মতো।

 

গত ১২ এপ্রিল মাহির পেজে লাইক ছিল প্রায় ৫৮২,০০০। সেদিন মিমের পেজে লাইক ছিল প্রায় ৪৭০,০০০। একই দিন মাহির প্রোফাইল একাউন্টে ফলোয়ার ছিল ১১৫,১৩১। মিমের একাউন্টে ফলোয়ার ছিল ২০৩,৫১৩। অর্থাৎ অফিসিয়াল পেজে মাহির লাইক ছিল মিমের চেয়ে প্রায় ১ লক্ষ বেশি। আর মিমের ফলোয়ার ছিল মাহির চেয়ে প্রায় ৮০ হাজার বেশি।

কিন্তু মাত্র ৪০ দিনে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন মিম। ফেসবুকে এখন নায়িকাদের মধ্যে তার প্রতিই ফেসবুক ইউজারদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ধরা পড়েছে। যদিও সমানতালে গত এক মাসে মাহি ও মিমের পেজে লাইক বেড়েছে, তারপরও মিমের লাইক বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। যার দরুন লাইকের দিক থেকে মাহিকেও ছাড়িয়ে গেছেন মিম।

 

২৪ জুন দুপুর ১টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত মিমের পেজে লাইক ছিল ৬২৪,৭৯০। এসময় মাহির পেজে লাইক ছিল ৬২৩,০৯২। মাহির একাউন্টে ফলোয়ার ছিল ১২৯,৩২৯। মিমের একাউন্টে ফলোয়ার ছিল ২২২,৯১২।

হয়তো এই রিপোর্ট প্রকাশের সময় মিমের পেজে লাইক আরো বাড়বে। আবার মাহির মিমকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে মাহিকে এতো দ্রুত মিমের ছাড়িয়ে যাওয়টা অনেকেরই নজর কাড়বে। ফেসবুক জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে লোকের দৃষ্টি কাড়লেও এই দুই নায়িকার প্রকৃত লড়াইটা হবে ছবিঘরে। বক্স অফিসে কে কত দর্শক টানতে পারলেন তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত বিচারে নায়িকার আসনবন্টন হবে। তখনই জানা যাবে কে নাম্বার ওয়ান আর কে নাম্বার টু।

নিউজবাংলা/একে