এবার আইপিএল মাতাবেন ৫ টাইগার!
নিউজবাংলা: শুক্রবার, ২৬ জুন:
ঢাকা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এ সাকিব আল হাসান ছাড়া বাংলাদেশের কোন প্রতিনিধি নেই এখন। ধারাবাহিক পারফর্ম করেও মুশফিকুরের ঠিকানা হয়নি আইপিএলএ। তামীম, রাজ্জাক, আশরাফুল, মাশরাফিদের জন্য আইপিএলএ সুযোগ বড় কোন সুখবর বয়ে আনেনি ইতোপূর্বে। তবে আইপিএল’র পরবর্তী আসরে বেশ ক’জন ক্রিকেটারকে দেখা যেতে পারে, এমনটাই ধারণা করছেন ভারত ক্রিকেট দলের লিয়াজোঁ হাসানুজ্জামান ঝড়–।
আইপিএল’র পরবর্তী আসরে লেট অর্ডার সাব্বির রহমান রুম্মান, টপ অর্ডার সৌম্য সরকারের নিলামে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল, পাশাপাশি অভিষিক্ত ২ ক্রিকেটার পেস বিস্ময় মুস্তাফিজুর এবং লিটন দাসেরও আইপিএলএ খেলার সম্ভাবনা দেখছেন এই সাবেক ক্রিকেটার।
এই চার ক্রিকেটারের প্রতি ভারত ক্রিকেটারদের আগ্রহ দেখে এমনটাই ধারণা পোষণ করছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হাসানুজ্জামান ‘আমি নিজেই জানতে চেয়েছিলাম, আইপিএলএ আমাদের কোন ক্রিকেটারের ভবিষ্যতে খেলার সম্ভাবনা আছে?
উত্তরে সুরেশ রায়না কি বলেছেন জানেন, একজন কেন, বেশ ক’জনের খেলার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে রুম্মান এবং সৌম্য’র ব্যাপারে আগ্রহ ওদের ভীষণ। লিটন দাস, মুস্তাফিজুরের নামও বলেছে।’ভারতের বিপক্ষে রুম্মানের ৩ ম্যাচে ১০৬ রান (গড় ৫৩.০০) কিংবা সৌম্য’র ১২৮ রান (গড় ৪২.৬৬) শুধু আকৃষ্ট করেনি ভারত ক্রিকেটারদের। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং, স্ট্রাইক রেট (রুম্মানের ১০০.৯৫, সৌম্য’র ১০৫.৭৮) ও মনে ধরেছে ভারত ক্রিকেটারদের।
চেন্নাই সুপার কিংস এর ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া সুরেশ রায়না ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে দিয়েছেন কথা হাসানুজ্জামানকে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আইপিএলএ ভাল করবে, বিশেষ করে এই চার ক্রিকেটারের নাম চেন্নাই সুপার কিংস এর ফ্রাঞ্চাইজিকে বলবে বলে আমাকে কথা দিয়েছে রায়না।
বলেছে, বাংলাদেশের এই চার ক্রিকেটার এখন বিশ্বের যে কোন লীগে খেলার দাবি করতে পারে।’ ভারত ড্রেসিংরুমেধোনীর সঙ্গে কথা হয়েছে মুস্তাফিজুরের, ধোনীর ব্যবহৃত ব্যাট চেয়েছে বলে মিডিয়ায় যে খবর বেরিয়েছে, তা গুঞ্জন নয় বলে দাবি হাসানুজ্জামানের, ‘ধোনী এবার সঙ্গে করে ৪টি ব্যাট এনেছিল বলে মুস্তাফিজুরকে তার একটি ব্যাট দিতে পারেনি।’
তবে প্রথম ম্যাচ হেরে ভারত ক্রিকেটাররা রাতের খাবার খায়নি বলে ভারতীয় মিডিয়ার খবর মোটেও সত্য নয় বলে জানিয়েছেন হাসানুজ্জামান, ‘খেলা চলাকালে যে পরিমাণ ফল টেবিলে সাজানো থাকে, তাতেই তো ওদের পের ভরে যায়।
তাছাড়া ওরা খাবার-দাবারের ব্যাপারে বেশ সচেতন। কে কি খেল, না খেল, সাপোর্টিং স্টাফরা সব সময় সে খবর রাখে। সুতরাং না খেয়ে রাত পার করার কোন কারণ নেই।’টীম মিটিং ছাড়া খেলোয়াড়দের সাথে কথা তেমন একটা শেয়ার করেন না কোচ রবি শাস্ত্রী।
বাংলাদেশের কাছে সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচ হেরে যাবার পরও নাকি ভারত ড্রেসিংরুমে হতাশা ভর করেনি। আবার সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতেও নাকি ড্রেসিংরুমের পরিবেশ উৎফুল্ল হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসানুজ্জামান, ‘কোন একজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে এসে সঙ্গে সঙ্গে তার ভুলটা বলছে, নিজের দায়টা নিজের উপরই নিচ্ছে।
খুব দ্রুত ওরা ভুলগুলো খুঁজে বের করে তা থেকে সতর্ক হতে চায়। ড্রেসিংরুমে ওরা একজন কথা দিয়ে আর এক টিমমেটকে আহত করে না, বরং অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যথেষ্ট। বলতে পারেন আপাদমস্তক পেশাদার মনোভাব তাদের মধ্যে দেখছি।’
তবে দু’দলের মধ্যে ব্যবধান গড়েছেন যিনি, সেই বাঁ হাতি ডেব্যুটেন্ট পেস বোলার মুস্তাফিজুর যে সিরিজজুড়ে অস্বস্তিতে ফেলেছে ভারত দলকে তা টের পেয়েছেন হাসানুজ্জামান, ‘মুস্তাফিজুরের বল কিভাবে সামাল দিতে হবে, তার জন্য এক একটি পার্টনারশিপের দায়িত্ব কি হওয়া উচিৎ, এসব নিয়ে ড্রেসিংরুমে ওদের অনেক কথা শুনেছি।’ বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সে বিস্মিত হয়নি ভারত, বরং বাংলাদেশ দলের এই উন্নতি দীর্ঘ সময়ের একটি প্রক্রিয়ার ফল বলে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার প্রাক্কালে মিডিয়াকে উল্লেখ করেছেন ভারত দলের অফিসিয়াল বিশ্বরূপ দে,‘গত বছরে ৭০ শতাংশ ম্যাচে জিতেছে ভারত। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে।
ধারাবাহিক ভাবে র্যাংকিংয়ে ২ নম্বরটা ওয়ানডেতে অক্ষুণ রেখেছে। অন্যদিকে গত ১৫ বছর ধরে ধাপে ধাপে উন্নতি করছে বাংলাদেশ। তাদের কেউ কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। একাডেমির মাধ্যমে একটা প্রক্রিয়ায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ।’
নিউজবাংলা/একে
Categories: খেলা,ছবিঘর,বিশেষ