নিউজবাংলা: শুক্রবার, ২৬ জুন:

 

ঢাকা: আটকের পর বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে হাতকড়া পড়িয়ে ও সামনে অস্ত্র রেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করায় তা বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে। বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ ছবি নিয়ে মিয়ানমারের  বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এটি বেশ সমালোচিত হয়। এ অবস্থায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় মিয়ানমার। তদন্ত শেষে  প্রতিবেদন বাংলাদেশকেও দেয়া হবে।

শুক্রবার বিজিবির তরফ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ১৭ জুন নায়েক রাজ্জাকসহ বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নাফ নদীতে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিল। এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি তাদের উপর গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি চালায়। এর এক পর্যায়ে বিজিবির সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। এরপর নায়েক রাজ্জাককে তুলে নিয়ে যায় বিজিপি।

রাজ্জাককে ফেরত না দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে বিজিপির ফেসবুকে তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এগুলোর একটি ছবিতে দেখা যায়, রাজ্জাকের নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে আর তার পেছনে বিজিপির একজন সদস্য দাঁড়ানো। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যায়, রাজ্জাকের সামনে তার অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী রেখে তাকে আসামির মতো করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আরেকটি ছবিতে তাকে হাতকড়া পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।

এ ছবি প্রকাশ হওয়ার পর বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিয়ানমারের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠে। কেনই বা রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো। আর কেনই বা তাকে মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। এমনকি পতাকা বৈঠকেও বিজিবি এ বিষয়ে নিন্দা জানায়।

 

 

 

নিউজবাংলা/একে