নিউজবাংলা: শনিবার, ২৭ জুন:

ঢাকা: বরাবরই তিনি একটু অন্যরকম। ভাই-বোনদের মধ্যে আলাদা। প্রচলিত পথে তিনি হাঁটেন না। চলেন তার মতো। নিজে যা বুঝেন তা-ই করেন। কে কি বলে, বললো তার তেমন একটা ধার ধারেন না।

যা করার জন্য তিনি মনস্থির করেন তার পিছনেই লেগে থাকেন। জগৎভোলা এই মানুষটি বিজ্ঞানী কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজননবীদ, বায়োটেকনোলজিস্ট কৃষিবিদ ড. নাজমুল হক শাহিন।

বাংলাদেশের দেশীয় ধানের ৮৫০ জাতের উদ্ভাবক তিনি। এবারই প্রথম গবেষণায় সফলতা পেয়েছেন। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম হাতিবান্ধা দহপাড়ায় লাগানো তিনবিঘা জমিতে চলছে তার পরীক্ষামূলক ধান কাটার কাজ। এখানে প্রতিবিঘা জমিতে সর্বনিম্ন ৩০ মন থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ মন পর্যন্ত ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

ড. নাজমুল হক শাহিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার সময়ই বেছে নেন তার কাজ, তার পথ-দেশীয় জাতের ধানের উচ্চফলনশীলতা নিয়ে গবেষণা। সেই ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি লেগে আছেন ধান নিয়ে গবেষণায়। আর সবার মতো সামাজিক প্রতিষ্ঠা, বিত্তের হাতছানি কোনো কিছুই টানেনি তাকে।

স্ত্রীর জমানো টাকা, শখের গহনা, বাড়ির মূল্যবান সামগ্রি সবই বিকিয়ে দিয়েছেন তিনি গবেষণার কাজে। এজন্য কখনো তাকে শুনতে হয়েছে হতচ্ছাড়া, পাগল ও উদ্ভট ডাক। তবে নানা চড়াই-উৎড়াই পেড়িয়ে তিনি হেঁটে চলেছেন তার পথে, তার গবেষণা নিয়ে অক্লান্ত কেটে গেছে আঠারোটি বছর। বলতে গেলে প্রায় একাই চলছে তার এই যাত্রা।

কৃষিবিদ ড. মো. নাজমুল হক শাহিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ থেকে কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি ও জাপানের কচি ইউনির্ভাসিটি হতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশি ইন্ডিকা ধানের জাতের উৎপত্তি ও বিবর্তনের বিষয়ে মতবাদ প্রকাশ করেন যা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়াতে বৈরী জলবায়ুতে চাষ উপযোগী ধান চাষ ও নতুন জাত উদ্ভাবনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি নিত্য নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন ধান উৎপাদকারী দেশ সমূহের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় ও বে-সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্য পরিচালনা করেন ও চাকরিও করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি বিভাগের মার্স্টাসে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সুপারভাইজর ও কো-সুপারভাইজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

সম্প্রতি প্রত্যন্ত গ্রাম হাতিবান্ধা দহপাড়ায় গিয়ে প্রথমে তার নাম পরিচয় দিয়ে কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হয় স্থানীয় লোকজনের কাছে। শুরুতে কেউ বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই বুঝে ফেলেন কার কথা জানতে চাওয়া হচ্ছে। তাদের ভাষায় “ও-ওই পাগলা মানুষের কাছে যাবেন। ওই মানুষতো জমির মদ্দে ছাপড়া করে থাকে। ওটিই ঘুম পাড়ে। ওটিই ধান বাছে। দুই মাস হলো ইংকা করেই থাকিচ্চে। হামরাতো প্রথমে মনে করিসনু পাগলা টাগলা কিছু একটা হবি। একুন দেকিচ্চি অনেক বড় মানুষ।

গ্রামের ধুলা উড়ানো মেঠোপথ ধরে মোটরসাইকেল নিয়ে এগিয়ে গেলেই দেখা মেলে সেই সবুজ বিপ্লবের নায়ক ড. মো. নাজমুল হক শাহিনের। পরনে তালি লাগানো ছেঁড়া শার্ট। এলোমেলো চুল, মুখভর্তি কাঁচাপাকা দাড়ি। পায়ের স্যান্ডেলের ফিতা ছিঁড়ে যাবার কারণে সেটি দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে। বসতি গড়েছেন গ্রামের মেঠোপথের পাশে একটি জমির মধ্যে ছোট্ট এলাকা ছাপড়া ঘরে। ঝড়, বৃষ্টি, ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছুটান হয়ে দাঁড়ায়নি তার এগিয়ে চলার পথে।

সন্তান, সংসার ময়মনসিংহে ছেড়ে বগুড়ার এক পাড়া গাঁয়ে ধানের জমিতে (তার গবেষণা স্পটে) কাটিয়ে দিয়েছেন মাসের পর মাস। জানালেন, এরই মধ্যে এক ঝড়ের রাতে জীবন সংশয় হয়েছিলো। ঝড়ে মনে হয় এখনি উড়ে যাবে আমার রাতকাটানোর জন্য তৈরি করা চালাঘরটির চালা। ঝড়-জল, ফাঁকা মাঠে প্রচণ্ড বজ্রপাতে হয়তো ক্ষতিও হতে পারে। এই ভেবে চালার বাঁশ ধরে ঝুলে থেকেছি। শেষ পর্যন্ত দয়াময় আমাকে সাহায্য করেছেন।

ড. নাজমুল হক শাহীন কুমিল্লা জেলার হোমনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম প্রফেসর ড. শহীদুল হক ও ডা. খাদিজা হকের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। নাজমুল হক শাহীন এক সন্তানের জনক। তার সহধর্মীণি হোসনে আরা নার্গিস দোলা তারই নিজ অর্থে পরিচালিত মাতৃভাষা বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক। বড় বোন বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও ছোট ভাই বিদেশে অধ্যয়নরত। ড. হক একজন সাংস্কৃতিক কর্মী, সংগঠক, কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, চিত্রকার ও স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা।
কখন, কিভাবে : ড. মো. নাজমুল হক শাহিন জানান, ১৯৯৭ সালে তিনি হাইব্রিড ধানের জাত গবেষণা করার সময় লক্ষ্য করেন দেশি ধানের জাতকেও কৃত্রিম সংকরায়ণের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল বানানো সম্ভব। দেশি ধানের জাতকে উচ্চফলনশীল করার অন্যতম উপায় হলো ট্রান্সগ্রেসিভ সেগ্রিগেন্ট ব্রিডিং যেখানে কৃত্রিম সংকরায়ণের পর ঋ২ পপুলেশনে ট্রান্সগ্রেসিভ সেগ্রিগেন্ট (যারা মাতৃ ও পিতৃ গাছ অপেক্ষা গুণাগুণ বিচারে সকল দিক থেকেই উত্তম) খুঁজে বের করা। সংকরায়ণের পর ট্রান্সগ্রেসিভ সেগ্রিগেশনের ফলে একই সাথে পুর্ণমিলনের ফলে খুব দ্রুত কিছু নতুন ফেনোটাইপের সৃষ্টি হয়। তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ পাহাড়ি এলাকা সুশন দূর্গাপুর গ্রামের এক কৃষকের জমিতে আমন মৌসুমে জন্মে এমন একটি জংলী ধানকে বেছে নিলেন গবেষণার বিষয় হিসেবে। সংগৃহীত (সংগ্রহকারী: ড. নাজমুল হক শাহিন ও হোসনে আরা নার্গিস দোলা) ধানটি বিভিন্ন আমন ধানের জাতের সাথে সাদৃশ্য খোঁজা হয়। কিন্তু কোনো জাতের সাথে মিল না পাওয়ায় মৌসুম ও সংগহকারী নাম অনুযায়ী নামকরণ করেন দোলা আমন হিসেবে। ওই সময় গবেষণার মাঠে ধানের জাতটির বিঘা প্রতি ফলন ছিল ১১ মণ। ঝড়ের ফলে এই ধানের গাছ হেলে পড়ে ও ধানের ছড়াতে ধানের সংখ্যা ১৪০-১৫৫টি।

এরপর শুরু হয় গবেষণা। সেই দোলা আমন ধানে কৃত্রিম সংকরায়ণ ও প্রোজেনী নির্বাচনের মাধ্যমে ড. মো. নাজমুল হক শাহিন উদ্ভাবন করেন ৮৫০টি নতুন উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত, যা দেশি ধানের জাতের উন্নতরূপ। সুদীর্ঘ ১৯ বছর (১৯৯৭ সন হতে ২০১৫) পর তার গবেষণার সুফল হাতে আসে। এখন তার উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলোর গড় ফলন বিঘা প্রতি ৩৩-৪০ মন। সর্বোচ্চ ৫৪ মণ পর্যন্ত ফলন রেকর্ডে রয়েছে তার। যা দোলা আমন ধানের সাধারণ জাতের ফলন অপেক্ষা তিনগুণেরও বেশী। ধানের জাতগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য হলো ধান গাছের কাণ্ড ও বায়োমাস বেশী হওয়াতে প্রচণ্ড বেগে ঝড় হলেও জমিতে হেলে পড়ে না। যদিও ধানের জাতগুলোর উচ্চতা ৯৫ সে.মি. হতে ১৩৫ সে.মি.। রোপনকৃত একটি চারা হতে প্রতিটি গাছে সর্বনিম্ন ১০টি হতে সর্বোচ্চ ২৮টি কুশি উৎপন্ন হয়। প্রতিটি ধানের শীষের দৈর্ঘ্য ২৫ সে.মি. থেকে ৪০ সে.মি.। প্রতি শীষে পুষ্ট দানার সংখ্যা ২৫০টি হতে ৩৫০টি। ধানের জাতগুলো প্রচলিত ধানের জাত অপেক্ষা তিন ভাগের এক ভাগ কম সার প্রয়োগ করে চাষাবাদ করা সম্ভব। উদ্ভাবিত নতুন ধানের জাতগুলোতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। নতুন ধানের জাতগুলো আউশ, আমন এবং বোরো মৌসুমে চাষ উপযোগী হবে। ধানের জাতগুলো নিচু হতে উঁচু জমিতে চাষ করা যাবে। হাওরে চাষ উপযোগী অনেকগুলো ধানের জাত এতে অন্তর্ভূক্ত আছে। ধানের চাল সাদা, লম্বা চিকন, মাঝারি চিকন ও মাঝারি রকমের মোটা এবং খেতে সুস্বাদু। এই ৮৫০টি ধানের জাতের মধ্য বেশ কয়েকটি রফতানিযোগ্য সুগন্ধি ধানের জাতও আছে। এই ধানের জীবন কাল ১০৫ হতে ১৪৫ দিন (চারা রোপন হতে ফসল কর্তন)।

কৃষি স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক বাংলাদেশ (দূর্গাপুর, নেত্রকোনা এবং খুলনা ফার্ম) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব এবং কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে গবেষণা করে দেখা গেছে যে, উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলো নাইট্রোজেন সার ব্যবহারে সাশ্রয়ী। কোনো প্রকার নাইট্রোজেন সার ব্যবহার না করে শুধুমাত্র গোবর, এমওপি ও টিএসপি সার প্রয়োগ করে ব্রি-ধান ২৯ অপেক্ষা হেক্টর প্রতি ১ টন বেশী ফলন পাওয়া সম্ভব। ধানের জাতগুলো তাপমাত্রা, লবণাক্ততা ও জলবদ্ধতা সহনশীল। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরীক্ষাগারে খাদ্যগুণ বিচারে উদ্ভাবিত ধানের নতুন জাতগুলোতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ধানের চালে সর্বোচ্চ আয়রনের পরিমাণ ৫৮.০৮ পি.পি.এম যা পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত বিদ্যমান আয়রন সমৃদ্ধ ধানের জাত অপেক্ষা ৭ গুণ বেশী। অপরদিকে ধানের জাতগুলোর চালে সর্বোচ্চ জিংকের পরিমাণ ৪৬.৩৮ পি.পি.এম যা ব্রি-ধান ৬৪ অপেক্ষা দ্বিগুণেরও বেশী।

ড. মো. নাজমুল হক শাহিন জানান, তার উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলো গত বোরো মৌসুমে ২০১৩-১৪ ফলন পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৭.৫ টন হতে সর্বোচ্চ ১৩ টন/হে: ফলন পাওয়া গিয়েছিল। চলতি বোরো ২০১৪-১৫ মৌসুমে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার হাতীবান্দা গ্রামে কৃষকের জমিতে ৮৫০টি ধানের জাত বিভিন্ন প্রকার ধানের জমিতে কৃষকের ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করে এখন পর্যন্ত ২৫টি জাতের ক্রপ কার্টিং করে হেক্টর প্রতি সর্বনিম্ন ৯ টন (বিঘা প্রতি ৩২ মন) হতে সর্বোচ্চ ১২ টন (বিঘা প্রতি ৪৪ মন) ফলন পাওয়া গিয়েছে। তবে একটি জমিতে পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ৫৪ মন (প্রতিবিঘা)।

সম্প্রতি বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চন্দিদাস কুন্ডু ড. মো. নাজমুল হক শাহিনের গবেষণা মাঠে গিয়ে রোপনকৃত উদ্ভাবিত নতুন ধানের ৮৫০টি জাতের মধ্যে একটি জাতের ফসল কেটে পরীক্ষা করেন। এ সময় হেক্টর প্রতি ৯ মে: টন (বিঘা প্রতি ৩২ মন) ফলন পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে চন্দিদাস কুন্ডু বলেন, গবেষণার ফলাফল ভালো। এগুলো আরো কৃষকের প্লটে বড় আকারে প্রদর্শনী স্থাপন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গাবতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাজমুল হক মন্ডল জানান, উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলো পৃথিবীতে ধান সম্পর্কিত গবেষণায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। দেশি ধানের জাতে ফলন বৃদ্ধি করার এটি সবচেয়ে বড় ঘটনা। বাংলাদেশ এর মাধ্যমে অর্জন করবে সর্বোচ্চ ফলনশীল দেশি ধানের ইনব্রিড জাত উদ্ভাবনের কৃতিত্ব। যা বিজ্ঞানীদের এযাবৎকালের ধান সম্পর্কিত অনেক ধারণাকেই পাল্টে দেবে।

ড. নাজমুল হক শাহীন জানান, তিনি তার নিজস্ব ব্যয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর গবেষণার কাজ চালিয়ে এসেছেন। গত দুই বছর যাবৎ বায়োটেকনোলজিস্ট আনিছার রহমান গবেষণার কাজে সর্বাত্বক সহযোগিতা করে আসছেন। বর্তমানে গবেষণার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় গবেষণা কার্যটি পরিচালনা করা তার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এখন প্রয়োজন বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক গবেষণা মহলের সবরকমের সহযোগিতা। একই সাথে কৃষকদের স্বল্পমূল্যে উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানের বীজ বিতরণ করাই তার বর্তমানে মূল লক্ষ্য। কারণ এটি করলেই কৃষক পাবে খাদ্যে নিরাপত্তা ও উন্নত জীবন যাপন এবং পৃথিবীতে সূচিত হবে “দ্বিতীয় সবুজ বিল্পব”।

নিউজবাংলা/একে