নিউজবাংলা: রোববার, ২৮ জুন:

মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রথম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের জুগিরকোফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই গ্রামের পাপন নামে এক যুবক বুধবার বিকেলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে।

 

পাপনের বাবার নাম আব্দুর রউফ খান। এ ঘটনায় রবিবার সকালে ধর্ষিত ছাত্রীর দাদা মৃধা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ধর্ষক পাপন গত বুধবার বিকেলে জুগিরকোফা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসীর মেয়ে রশিদ দেওহাটা মিফতাহুল উলুম মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে মোবাইলে সিনেমা দেখানোর কথা বলে নদীর পাড়ে ভূট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে পাপন তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পেয়ে ছাত্রীকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ধর্ষিতা মুমূর্ষু অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডের ১ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকার কতিপয় মাতব্বর সালিসের নামে কালক্ষেপণ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, ওই ছাত্রীর দাদা মৃধা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেছেন, মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপরাধীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

নিউজবাংলা/একে