নিউজবাংলা: সোমবার, ২৯জুন:
ঢাকা: ধর্ম অবমাননার মামলায় প্রায় আট মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সৈয়দ নেছার আলম জানান, লতিফ সিদ্দিকী বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জামিনে মুক্তির সব কাগজপত্র যাচাই শেষে আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর লতিফ সিদ্দিকী হেঁটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলেও তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
গত ২৩ জুন ১০ মামলায় ও গত ২৬ মে ৭ মামলায় লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দেন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করেন তখনকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশ ও দেশের বাইরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে মোট ২৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১৭ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে সরকার মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অপসারণ করে। আওয়ামী লীগও তাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যপদ ধেকে বহিষ্কার করে।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। ২৫ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ধারা মোতাবেক ১৭ মামলায় জামিন ও মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকী। বাকি ১০ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকায় জামিন চাননি তিনি।