নিউজবাংলা: সোমবার, ২৯জুন:

ঢাকা: দক্ষিণাঞ্চলের ঘরে ফেরা যাত্রীদের চাপ সামলাতে এবার ঈদেও যুক্ত হচ্ছে ১১টি নতুন লঞ্চ।  যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যেই নৌ-রুটে চলাচল শুরু করেছে মধুমতি, সুরভী-৯, সুন্দরবন-৭, ঈগল নামের নতুন লঞ্চ। বাকি লঞ্চগুলোও পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জানিয়েছেন, যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ঈদ উপলক্ষে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঈদে টার্মিনাল ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। বরাবরের মতো এবারও বাড়ানো হবে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার আওতা।

বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, যাত্রীদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে লালবাগ জোনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে টার্মিনালের সামনের রাস্তা পর্যন্ত হকারমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবারও নতুন ১১টি লঞ্চের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কয়েকটি লঞ্চ ইতোমধ্যে চলাচল শুরু করেছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে। টার্মিনাল ও নদীপথে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বরাবরের মতো মাঠে থাকবে র‌্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম। টার্মিনালে যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবে সমন্বয় টিম। থাকছে অভিযোগ কেন্দ্রও।

তিনি বলেন, লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে, সেজন্য বিআইডাব্লউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং সেল তদারকি করবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্যাংওয়ে, জেটিসহ পুরো টার্মিনাল হকারমুক্ত করা হয়েছে।  ভাসমান হকারদেরও উচ্ছেদ করা হয়েছে। মাঝ নদীতে লঞ্চে যাত্রী উঠানো  বন্ধ করতে কড়া নজরদারি করা হবে।

 

 

নিউজবাংলা/একে