নিউজবাংলা: মঙ্গলবার, ৩০জুন:

চট্টগ্রাম : বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত  বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটির কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হলেও এর মূল কাঠামো উদ্ধার করা যায়নি। মেলেনি বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদের খোঁজ। তাকে উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পৃথক তল্লাশি টিম।

সোমবার বিকেল ৩টায় সাগর থেকে বিধ্বস্ত বিমানের কয়েকটি টুকরা উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বেলা ১১টায় চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে অভ্যন্তরীণ নিয়মিত উড্ডয়নের অংশ হিসেবে ফাইটার বিমান এফ-৭ নিয়ে আকাশে উড়াল দেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ। ১৫ মিনিট পর বিমান বাহিনীর কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিমানটির সন্ধানে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার অনুসন্ধান চালায়। পরে বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের পৃথক উদ্ধারকারী দল অভিযানে সাগরে নামে। এ সময় পতেঙ্গা এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্স। বিকেল ৩টার দিকে বিমানের কয়েকটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও মেলেনি এর মূল কাঠামো। সন্ধান পাওয়া যায়নি পাইলটেরও।

আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক নূর ইসলাম বলেন, ‘বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত বিমানের কয়েকটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও বিমানের মূল অংশটি পাওয়া যায়নি। সন্ধান মেলেনি বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদের। তাকে উদ্ধারে সমন্বিত চেষ্টা চলছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম জানান, বিমানের খোঁজে ঘটনাস্থলে অভিযান চালাচ্ছে বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের পৃথক তল্লাশি টিম। অভিযানে রয়েছে বন্দরের সি-অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারি জাহাজ কান্ডারি-২।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থল নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে নিখোঁজ রয়েছেন বিমানের পাইলট।

 

 

নিউজবাংলা/একে