নিউজবাংলা: মঙ্গলবার, ৩০জুন:

মো.নজরুল ইসলাম, মধুপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:

সানরাইজ আইডিয়াল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নাজমুল ইসলাম। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাবার সাথে মধুপুর এসে ঈদের কেনাকাটার জন্য।

ঈদকে সামনে রেখে শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রমনীরা। সাড়া দেশের মতো টাঙ্গাইলের মধুপুরেও জমে উঠেছে ঈদ বাজার। নতুর রূপে সাঝানো উপজেলার অভিজাত মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতাদের মন ভুলাতে আকর্ষনীয় ‘মূল্য ছাড়’র নানা স্লোগান সম্বলিত ব্যানার,ডিজিটাল সাইন বোর্ড ও ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে উপজেলা শহর।

কয়েক দিনের টানা বষর্ণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যখন,তাদের ফসল রক্ষায় ব্যস্ত ঠিক তখন, বাড়তি ঝামেলা হলো স্ত্রী,সন্তান ও নিকট আতœীয় স্বজনদের ঈদ আবদার। তারপরও টাকা সংগ্রহ করে বউ-ঝিদের পাঠাচ্ছেন ঈদ কেনাকাটা করতে। তারা শহরের নামি-দামি বিতানী গুলো ঘুরে পছেন্দের শাড়ী,থ্রী পিচ,শার্ট,প্যান্ট ,জুতা গহনা ও কসমেটিক্স ক্রয় করছেন।তবে শিশুদের পোশাকটা আগে কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,গতবারের মতো ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের ‘পাখি’র চেয়ে এবার ‘কিরণমালা’র নামের পোশাক কেনার আগ্রহ খুব একটা নেই। বিক্রেতারা জানান,শিশুদের ‘কিরণমালা’ ড্রেসের প্রতি আগ্রহ একটু বেশি। পেচারআটা বাজারের দর্জি মো.মিজানুর রহমান জানান,আমার কাছে যত অর্ডার আসছে তার মধ্যে ‘কিরণমালা’ খুব একটা নেই। তিনি জানান, গতবারের চেয়ে এবার আগ্রহ কম। পেচারআটার সানরাইজ আইডিয়াল স্কুলের প্লে-গ্রুপের ছাত্রী নুসরাত জাহান নুহিন ‘কিরণমালা’ ড্রেস কিনবে বলে জানায়।

উপজেলার পাহাড়িকা শপিং মল,সরকার মার্কেট, আনোয়ার মার্কেট, সাদের আলি মার্কেট বিন্দু প্লাজা ও তৌফিক প্লাজাগুলোতে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বেচা কেনা হচ্ছে।

স্বচ্ছ ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা শহরের অভিজাত মার্কেটগুলোতে ভিড় করলেও দরীদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।

সব ধরণের ক্রেতাদের একই বক্তব্য জিনিস পত্রের দাম আঁকাশ ছোঁয়া।

ফুলবাড়িয়ার সন্তোষপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ এসেছেন তৌফিক প্লাজার এমএন ফ্যাশনে নাতনীর জন্য জামা কিনেতে। টাকা আছে পকেটে ৫শ কিন্তু নাতনীর যে জামাটি পছন্দ হয়েছে তার দাম ৯শ টাকা। নাতনীকে কাঁদিয়ে নিয়ে চলে গেলেন। এমন দৃশ্য অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে।

সিয়াম গার্মেন্টেসের মালিক মো.বাবুল মিয়া জানান,বেচাকেনা মোটামুটি ভালো। তবে দাম চড়া হওয়াতে ক্রেতাদের একটু সমস্যাই হচ্ছে।

অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে ছিনতাইকারি,চোর,জাল টাকা তৈরিকারিরা সক্রিয় হয়ে ইঠেছে। তবে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সফিকুল ইসলাম জানান,ঈদ সামনে ছিনতাই,চুরি ও জাল টাকা ব্যবসার অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

নিউজবাংলা/একে