নিউজবাংলা: ৬জুলাই, সোমবার:
লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় চিকিৎসকের অবহেলায় আলমীগর হোসেন (৩০) নামের এক ব্যাবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতাল ও পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে এক সহকারী চিকিৎসকসহ চারজন আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তেজিত জনতা লাশ নিয়ে মিছিল করেছে। রবিবার সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের প্রবেশদ্বার প্রায় তিন ঘণ্টব্যাপী অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের প্রত্যাহারসহ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ শাস্তি দাবি করেন। প্রশাসনের আশ্বাসে পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। জানা গেছে, আলমগীর উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রামের আতিয়ার রহমানে ছেলে। সে একজন মুদি ব্যবসায়ী। আহতরা হলেন, হাসপাতালের কমিউনিটি প্রগ্রামের সহকারী চিকিৎসক ধীমান রায়, ফার্মাসিস্ট আতাউর রহমান, ল্যাব এসিসট্যান্ট জাহাঙ্গীর ও যাদব। আলমগীরের মামা মিজানুর বলেন, ‘আলমগীর রবিবার বেলা ১১টার দিকে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাতীবান্ধা হাসপতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় সেখানে চিকিৎসক না থাকায় কর্তৃব্যরত ওয়ার্ড বয় তাকে পার্শ্ববর্তী তিস্তা ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে ইসিজি করতে বলেন। হাসপাতালের পরিবর্তে বেসরকারি ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় রোগীর স্বজনদের সাথে বাকবিত-া হয়। ওই সময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিল না। সে কারণেই আমার ভাগিনার মৃত্যু হয়েছে।’ এদিকে, চিকিৎসকের অবহেলায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে হাজারও লোক হাসপাতালে সমবেত হয়। এ সময় তারা হাসপাতালের জানালাসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরে সেখান থেকে উত্তজিত জনতা মেডিকেল মোড় এলাকায় অবস্থিত তিস্তা প্যাথলিজি ও একতা ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায়। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রমজান আলী চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা অস্বীকার করে জানান, ওই সময় জরুরি বিভাগে ডা. সুলতানা কচি দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিলেও তার অনাকাঙ্খিত মৃত্যু ঘটে। কিন্তু উত্তেজিত জনতা কোনো কিছু না বুঝেই হাসপাতালের জানালা দরজা আসবাবপত্র ও কিছু চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে।

নিউজবাংলা/একে