পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হচ্ছে কক্সবাজার
নিউজবাংলা: ৭জুলাই, মঙ্গলবার:
নিউজবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারকে পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে একটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৫’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “কক্সবাজারের গুরুত্ব ও সম্ভবনাও অনেক, এটি একটি পর্যটন নগরী, এর উন্নয়নের বিশাল সম্ভবনা রয়েছে, কিন্তু এখানে বর্তমানে অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে ফলে তা আকর্ষণীয় হতে পারছে না।”
সরকার পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য আইনের মাধ্যমে একটি কর্তৃপক্ষে গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আদলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।
“এ আইনের অধীনে কক্সবাজারের উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক একজন চেয়ারম্যান এবং প্রশাসন, উন্নয়ন ও পরিকল্পনার জন্য ৩ জন সদস্য সরকার নিয়োগ দেবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিসহ মোট সদস্য সংখ্যা হবে ১৫। এদের মধ্যে ৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক থাকবেন, যাদের একজন থাকবেন নারী।
“একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য এ কর্তৃপক্ষ সমীক্ষা, জরিপ, মাস্টার প্লান তৈরি ও নগর পরিকল্পনা তৈরি করবে।”
ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করাই এ কর্তৃপক্ষের কাজ হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে কেউ যেন ভূমি ব্যবহার করতে না পারে সেটি হবে কর্তৃপক্ষের মূল কাজ। উন্নয়নমূলক কাজ যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয় তার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করবে এই কর্তৃপক্ষ।
“ভবন নির্মাণ বা উন্নয়নমূলক কাজ করতে এই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া এসব কাজ করা যাবে না।”
কোনো কাজে অনুমতি দিলে পরবর্তীতে তা বাতিল করার ক্ষমতাও কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এ আইনে ৮টি অধ্যায় ও ৫০টি ধারা রয়েছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ন প্রতিহত এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদেও এ কর্তৃপক্ষ কাজ করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ আইন ভঙ্গ করলে প্রচলিত আইনে বিচার হবে।
“ভবন নির্মাণ, জলাধার ভরাট বা পাহাড় কাটা ইত্যাদি কাজ বন্ধে কর্তৃপক্ষ আদেশ দিতে পারে, যদি এই আদেশ কেউ অমান্য করে তাহলে কর্তৃপক্ষ অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবে বলে আইনে রয়েছে।”
এ আইনে মোবাইল কোর্টে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ারও রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
নিউজবাংলা/একে