নিউজবাংলা: ৭জুলাই, মঙ্গলবার:

ঢাকা : বিএনপি আগামী দিনের আন্দোলনে নামার জন্য তিন ধাপে এগুতে চাইছে। এরমধ্যে রয়েছে আন্দোলনের জন্য দল পুনর্গঠন, দলের নেতাকর্মীদের জেল থেকে মুক্ত করে আনা ও এলাকা ভাগ করে করে নেতাদের স্ব স্ব এলাকায় আন্দোলনের জন্য দায়িত্ব প্রদান ও আন্দোলনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে সাফল্য আনা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এই তিন স্টেপে এগুনোর জন্য কি কি করা প্রয়োজন সেটা নিয়েও দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে আলোচনাও করেছেন। সোমবার রাতের বৈঠকে দলের কোন কোন নেতা চেষ্টা করেছেন তাকে সব কথা বলার। নিজের কথাও বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। খালেদা জিয়া প্রায় দীর্ঘ ছয় /সাত মাস পর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কারণ তাদের কথা শুনেছেন পরামর্শ দিয়েছেন ও তাদের মতামতও নিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন আমরা আন্দোলনে যাওয়ার জন্য কি কি করতে হবে সেটা নিয়েই ভাবছি। সোমবার রাতে ম্যাডাম এই সব বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে আন্দোলনের পূর্ব শর্ত হলো দল পূনর্গঠন করা। দলের সাংগঠনিক ভিত্তি আরো মজবুত করা। আর দল পূনর্গঠনের পুর্ব শর্ত হচ্ছে আটক নেতাকর্মীদের জেল থেকে জামিনে মুক্ত করে আনা।
ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে আমাদের নেতারা আইনীভাবে জামিন লাভ করলেও তাদেরকে বাইরে আসতে দিবে না। তা না দেওয়ার জন্য সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে। কেউ জামিন পেলেও তাকে কেমন করে আটকে রাখা হবে সেটা আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভীর বেলায় দেখছি। আরো অনেক নেতার বেলায়ও হচ্ছে। তারা জামিন পেলেও বাইরে বের হতে পারছেন না। সরকারের সব বাঁধাই আমরা পাড় হতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা এখন আরো যুতসই কৌশল বের করছি কেমন করে নেতাদের বাইরে বের করে আনা যাবে। আর সেটা করেই আমরা নতুন করে আন্দোলনে নামবো। সেটা ঠিক করবো। এবার আন্দোলনের লক্ষ্য হবে কাঙ্খিত সাফল্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশ সফরের প্রাক্কালে নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও জোটের কোন নেতাদের সঙ্গে আপাতত বৈঠকে বসছেন না। সেটা তিনি বসবেন আরো পরে। উল্লেখ, তিনি দশদিনের জন্য সৌদি আরবে যাচ্ছেন। সেখানে ওমরাহ হজ পালন করবেন। তার বড় ছেলে তার পরিবার নিয়ে সেখানে আসবেন এবং তার সঙ্গে ওমরাহ হজ পালন করবেন। মা ও ছেলের মধ্যে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করার পাশাপাশি অবসরে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

নিউজবাংলা/একে