নিউজবাংলা: ১০ জুলাই,শুক্রবার :
ঢাকা : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলদেশ সফরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও দু’ দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২২ টি চুক্তির দলিল বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর কাজে তেমন অগ্রগতি নেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় গুলোকে চিঠি পাঠিয়ে দলিল বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণের জন্য বলা হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রণালয়গুলো দলিল বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছু জানায় নি।
সূত্র জনায়, নৌ প্রটোকল চুক্তির অধীনে ট্রানজিট ফি নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গত এপ্রিলে। এ সম্পর্কিত চুক্তিটি মোদির সফরের সময়ে স্বাক্ষরিত হলেও এখন পর্যন্ত এ কমিটির গঠনের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাগাদা দিচ্ছি কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের। নৌ প্রটোকল সংক্রান্ত চুক্তির বান্তবায়ন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আমরা এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকি। তবে আমরা আশা করছি, রোজা শেষ হওয়ার পর আগামী মাস থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, ২২টি চুক্তির মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দুটি দলিল স্বাক্ষরিত হয় যা জুলাই মাসের মধ্যে সম্পাদন করতে হবে। এ দলিল দুটির বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে হবে তা না হলে বড় সমস্যায় পরতে হবে।
মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারত দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি করেছিল। চুক্তির একমাস পেরিয়ে গেলেও এর কোনও অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে বাংলাদেশ ১৩টি সম্ভাব্য প্রকল্পের একটি তালিকা ভারত সরকারকে দিয়েছিল, কিন্তু এরপর আর এ কাজের আর কোনও তৎপরতা নেই।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ২২টি দলিল স্বাক্ষরিত হয় এবং ৬৫ দফা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি ঘোষণা করা হয়েছিল।

নিউজবাংলা/একে